Friday, January 31, 2020

স্বপ্ন

                         স্বপ্ন

                                        ডাঃ কাজল কুমার বক্সী


সব গাছেতেই দিলেম ঝাকি 
বেল গাছটায় বাকি,
টুপুস করে পড়লো বেল
চাঁদি ফাটলো নাকি?

সব ফুলেরই গন্ধ শুঁকি
শিমূল ফুলটায় বাকি
পথের উপর ঝরলো  শিমূল
কুড়িয়ে নিল খুকি।

সব বাগানেই মারছি উঁকি
 পেয়ারা বাগান বাকি
মুঠোয় ভরা লংকা লবন
অংক কষায় ফাঁকি।

সব  দুয়ারে একলা ডাকি
রাজার  দুয়ার বাকি
রাজার  ছেলে  মেললো চোখ
স্বপ্ন দিলেম আঁকি।


          বগুলা, নদিয়া, ৩০/১/২০২০

Thursday, January 30, 2020

কচ্ছপের ছানা

                                    কচ্ছপের ছানা

                                              ডাঃ কাজল কুমার বক্সী
                                                

কচ্ছপের ছানা গুলো
বালি থেকে বেরিয়ে,
ঝটাপট  যায় চলে
তট ভূমি পেরিয়ে।

খুদে খুদে শত শত
ওরা সব চলছে,
বাজেদের ছোবলে
কেউ কেউ মরছে।

সাগরের ডাকে যারা
প্রাণ পণে  ছুটছে
বাচা মরা লড়াইতে
হাবু ডুবু খাচ্ছে।

একদিন বড় হয়ে 
এরা সব ফিরবে 
বালি খুঁড়ে সাদা সাদা
ডিম গুলো পাড়বে।

তার পর নীল জলে
বুক খানা ভাসাবে,
ফেলে যাওয়া দাগ গুলো
ধীরে ধীরে হারাবে।।

                    বগুলা ,নদিয়া,

৩০/১/২০২০






                                   

Saturday, December 28, 2019

বাংলা দেশী পিসি

                              বাংলা দেশী পিসি

                                                               ডাঃ কাজল কুমার বকসী


খুক খুক কাশি 
        আর
 খ্যাক খাক হাসি,
এই নিয়ে বেচে আছে বাংলা দেশী পিসি।

ত্যাড়া ত্যাড়া বুলি 
       আর
ছেঁড়া ফাটা ঝুলি
এটা তার সম্বল তাই পেয়ে খুশি।

রোগা রোগা হাত
      আর
ফাঁকা ফাঁকা দাঁত
রোজ খায় পান সুপারি গুনে গুনে সাত।


নড় বড়ে ঘর
     আর 
বালি বালি চর
ভয়ে ভয়ে থাকে পিসি দিন ভর  রাত।

গুন গুন গান
   আর  কালা দুই কান
সকলকে ভালোবাসে নেই তার পর।

শাক পাতা ডাল
     আর
বেশি বেশি ঝাল
 পিসি একা খেয়ে নিয়ে ঘোরে চিরকাল।

শুন শান পাড়া
     আর
 রুপো ঢালা চাঁদ
গাঙ দিয়ে নৌকা বয় তুলে দিয়ে পাল।
 বগুলা/ ২৮/১২/২০১৯















                                     

Sunday, December 1, 2019

পদ্ম বাঁওড়




বাংলা নদী নালা,খাল বিল বাঁওড় এর প্রাচুর্যে বরাবরই প্রানবন্ত।প্রতিটি জলাশয়ই তার ভিন্ন ভিন্ন মাধুর্যে চিরসজীব।সে কখনো শীতের কুয়াশায় একাকি শান্ত সমাহিত আবার কখনো বর্ষার অবিরাম ধারাপাতে ভীষনই মিষ্টি মূখর। টলটলে জলে ভরা বাঁওড় গুলো যেন সারা গায়ে সু গন্ধি অলিভ ওয়েল মেখে শীতের রৌদ্রে চুপি চুপি স্নান সেরে নেয়। পান কৌড়ি,মাছ রাঙ্গা,সাদা বকের দল ঝুপ ঝুপ করে মাছ তুলে নেয় লম্বা সুঁচালো ঠোট গুলোতে।
কিন্তু এই অতি আপন জলাশয় গুলো আজ কাল নানা ধরনের পরিবেশ দূষনের শিকার। আমি বারে বারে এদের কাছে ছুটে ছুটে যাই এক অজানা নাড়ীর আকর্ষণে। তার জন্য এই ছড়া।

                                             পদ্ম বিল
                                           ডাঃ কাজল কুমার বক্সী

সবুজ সবুজ ছায়ায় ছায়ায় 
একলা থাকি বেশ, 
শীতল শীতল  জলের বুকে
আলতো ঢেউ এর রেশ।

রোদের আদর শরীর জুড়ে
বইছে বাতাস ধীরে,
বকের ঠোটে মাছের পোনা
ফিরছে বধূ ঘরে।
গায়ের লোকে নাইতে এলে
মনটা ওঠে দুলে
জল ছিটিয়ে পাড় ভিজিয়ে
খেলছে সবাই মিলে।

সাঁঝের বেলায় রঙ বাহারি
কুসুম ভেঙ্গে ঝরে,
পদ্ম পাতায় হীরের দোলা
শান্ত চরা চরে।।

Wednesday, November 13, 2019

জীর্ণ অবয়ব





                               জীর্ণ অবয়ব
                                                          ডাঃ কাজল কুমার বক্সী


স্বপ্ন ঘোর অতীত,
অক্টোপাসের মত জড়িয়ে নিষ্টুর  মূল উপমূল।
সমকালের গতিময় জীবনের কোলাহলে
একাকী নিঃশ্চূপে।

অমলিন নুতন সবুজ পাতারা
স্বগর্বে নিজেকে সপেছে সূর্যালোকে।
পরাভূত জরা ভয়াল নিষ্পেষনে আবৃত
চিরকালের অতি চেনা নাগপাশে।

অবহেলিত অকৃত্রিম সাক্ষী,
দুটি হলুদ ঠোটের গাঙ্গ শালিকের সাবলীল সংসারে
নিজেকে খুঁজে পায় বারে বারে
হারানো আনন্দ ঘন নহবতের সুরে।

জারি হয়ে যায় যদি নোটিশ কখনো
 হাতুড়ী ছেনির আঘাতে আঘাতে
বেদনাতুর হব জানি
এই ভঙ্গুর  ক্ষয়িষ্ণু অবয়বে।

মনে রেখ অবলুপ্ত হতে চলা এই আমাকে,
ফিরতি পথের অকস্মাৎ দৃষ্টিপা্তে
নিঃশেষিত রঙ্গিন কলেবরহীন
এক অজানা শহরের পথিক হিসাবে।






বগুলা, নদীয়া
ছবি- রানাঘাট পাল চৌধূরী জমিদার বাড়ি.১৩/১১/২০১৯

                  

Monday, November 11, 2019

হুতুম রাজা( KING OWL)



হুতুম রাজা
ডাঃ কাজল কুমার বক্সী

হুতুম রাজার দেশের কথা
জানতে যদি চাও
গহন বনের নদীর পাড়ে
একলা তুমি যাও।

সূয্যি মামা যেই ডুবে যায়
অমাবস্যার রাতে
হুতুম রাজা মন্ত্রী সভায়
বসেন আসন পেতে।

মন্ত্রী বলেন রাজা হুজুর
খাবার যাচ্ছে কমে
ইঁদুর গুলো যায় না ধরা
কিনতে হচ্ছে দামে।

ধানের মাঠে মেঠো ইঁদুর
গেছো ইঁদুর গাছে
নেংটি ভায়া থাকেন ঘরে
প্রানটা যদি বাচে।
হুতুম বলেন -চুপ! চুপ!
রাণী শুনতে পাবেন
একটা কিছু করতে হবে
সবাই মিলে ভাবেন।

খবর আছে রাজা সাহেব
অতি গোপন কথা
গনেশ ঠাকুর আছসে রাতে
সঙ্গে অনেক নেতা ।
সর্বনাশ! বলেন রাজা
মরবো নাকি সবাই
ইঁদুর গুলোর বড্ড সাহস
করবো ওদের জবাই।

হুতুম পেচাঁর গোল্লা চোখে
আঁধার নামে রোজ
একশো ইঁদুর পড়লে ধরা
রাজা সারেন ভোজ।


বগুলা, ১১/১১/২০১৯



Friday, November 8, 2019

শীতের পিঠে (Winter cake)

শীত আসা মানেই বাঙালীর ঘরে ঘরে পিঠে পুলির সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ে হিমেল বাতাসে।ঘন কুয়াশায় মিলে মিশে একাকার হয় সাদা আতপ চাল গুঁড়োর নির্ভেজাল নির্মল হাসি।কত রকম যে পিঠে তৈরি হয় তার হিসেব মেলা ভার । এক একটা জেলায় বা প্রদেশে এক এক রকম পিঠের গড়ন ও  স্বাদ।ছোটো বেলার মা,মাসি,পিসি কিংবা ঠাকুরমার হাতে তৈরি পিঠে খাওয়ার কথা সকলেই মনে রাখে হৃদয়ের গভীরে। ভোর বেলায় উঠেই দাঁত না মেজে কাঁথা গায়ে দিয়ে মনলোভা খেজুর গুড়ের শীতল চুষি পিঠে খেয়ে নেওয়া ছিল প্রথম কাজ। আর সেই আনন্দের স্মৃতি মনে করেই এই ছোট্ট ছড়া লেখা।



            শীতের পিঠে
                                ডাঃ কাজল কুমার বক্সী

গরম ভাতে লংকা পোড়া
ইলিশ মাছের তেল।
দাদু খেল মুড়ির মোয়া
গরুর দুধে বেল।

গুড়ের ভিতর কালো পিঁপড়ে
ভাঙল হাড়ি দিদা,
বাটি বাটি ক্ষীরের পায়েষ
একলা খেল দাদা।

পাটি সাপটা করল পিসি
নরম পুলি দিয়ে,
খেজুর রসে গলা ভেজায় 
মাসির ছোটো মেয়ে।

আচার দিয়ে মাখলো ছাতু
দিদির ননদ মিতা।
সাত সকালে শীতল পিঠে
সবার আসন পাতা।

চুষি,ভাপা,কুলি সরা
 খাচ্ছে সবাই মিলে,
মুখের কোণে ফোটে হাসি
একটা পিঠে পেলে।






        
                             বগুলা, নদিয়া,০৮/১১/২০১৯
 

ভোটা চাটনি

ভোটা চাটনি চাই গো ,ভোটা চাটনি চাই?  ও ভাই , ভোটা চাটনি কি? ওই চাটনির তো কখনো নাম শুনিনি। দাদা এই চাটনির অনেক গুন, একবার খেয়েই দেখুন না কিরক...