শীত আসা মানেই বাঙালীর ঘরে ঘরে পিঠে পুলির সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ে হিমেল বাতাসে।ঘন কুয়াশায় মিলে মিশে একাকার হয় সাদা আতপ চাল গুঁড়োর নির্ভেজাল নির্মল হাসি।কত রকম যে পিঠে তৈরি হয় তার হিসেব মেলা ভার । এক একটা জেলায় বা প্রদেশে এক এক রকম পিঠের গড়ন ও স্বাদ।ছোটো বেলার মা,মাসি,পিসি কিংবা ঠাকুরমার হাতে তৈরি পিঠে খাওয়ার কথা সকলেই মনে রাখে হৃদয়ের গভীরে। ভোর বেলায় উঠেই দাঁত না মেজে কাঁথা গায়ে দিয়ে মনলোভা খেজুর গুড়ের শীতল চুষি পিঠে খেয়ে নেওয়া ছিল প্রথম কাজ। আর সেই আনন্দের স্মৃতি মনে করেই এই ছোট্ট ছড়া লেখা।
ডাঃ কাজল কুমার বক্সী
গরম ভাতে লংকা পোড়া
ইলিশ মাছের তেল।
দাদু খেল মুড়ির মোয়া
গরুর দুধে বেল।
গুড়ের ভিতর কালো পিঁপড়ে
ভাঙল হাড়ি দিদা,
বাটি বাটি ক্ষীরের পায়েষ
একলা খেল দাদা।
নরম পুলি দিয়ে,
খেজুর রসে গলা ভেজায়
মাসির ছোটো মেয়ে।
আচার দিয়ে মাখলো ছাতু
দিদির ননদ মিতা।
সাত সকালে শীতল পিঠে
সবার আসন পাতা।
চুষি,ভাপা,কুলি সরা
মুখের কোণে ফোটে হাসি
একটা পিঠে পেলে।
বগুলা, নদিয়া,০৮/১১/২০১৯
No comments:
Post a Comment