Wednesday, September 9, 2020

কাটা ছেঁড়ায় ক্যালেন্ডূলার ব্যবহার

 ক্যালেন্ডূলা ওফিসিনালিস - 

              ক্যালেন্ডূলা ওষূধটি এক কথায় সকলেই চিনে ফেলতে পারেন, কেননা বাজারে ক্যালেন্ডূলা শব্দটি জুড়ে নানান ধরনের মলম ও পাউডার পাওয়া যায় বলেই। হোমিওপ্যাথিতে এই ওষুধ টির গুরত্ব কিন্তু অপরিসীম বা ভীষণই কার্যকারি।এটি বাড়ীতে বা কাছে থাকা মানেই কাটা ছেঁড়ায় অনেকটা নিরাপদ থাকা ।

ক্যালেন্ডূলা বা মারি গোল্ড  ফ্রান্স থেকে উৎ পত্তি । আঁচিল সারানো হতো বলে এর নাম ছিল ভেরুকেরিয়া।

পরবর্তীতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎ সার জন্য এটির ব্যাপক  প্রসারতা বাড়তে থাকে।ধারালো কোনো ছোট-খাটো অস্ত্রে বা ছুরি ,কাঁচি, ব্লেডে, কেটে কিংবা আঘাতে শরীরের কোন অংশ থেতলে ও ছিঁড়ে গেলে এই ওষুধের জুড়ি মেলা ভার। ক্যালেন্ডূলl এন্টিসেপটিক ও এন্টিব্য়াকটিরিয়াল হিসাবে কাজ করে। ক্ষতে ও কাটা জায়গায় পূঁজ তৈরীতে  বাধা দেয় ফলে কাটা জায়গা সহজে শুকিয়ে ও জুড়ে যায়।

কেটে ছিড়ে গেলে যে প্রচন্ড ব্যথা হয় তা সহজেই ক্যালেন্ডূলায় সেরে যায়। রোগি অতি তাড়া তাড়ি আরাম বোধ করে।

ক্যালেন্ডূলা ব্যহ্যিক ব্যবহারের জন্য ক্যালেন্ডূলা লোশন ,মলম, ক্রিম, মাদার টিংচার বাজারে সব সময় সহজ লভ্য।

মুখে খাওয়ার জন্য ক্যালেন্ডূলা ৬,৩০,২০০ শক্তির ওষুধ খাওয়া যেতে পারে । শক্তি অনুসারে দিনে তিন থেকে ছয় বার দেওয়া হয়।

সেলাই করার পরে ক্যালেন্ডূলা লাগালে ও ব্যন্ডেজ করে দিলে কাটা যায়গা অতি সহজে শুকিয়ে যায় 


ও জল না লাগালে পুঁজ হয় না।

ক্ষত স্থানের নষ্ট হওয়া অংশ সহজেই পূরণ করে ক্যালেন্ডূলা । দাঁত তোলার পরে ক্যালেন্ডূলা লাগালে রক্ত পড়া বন্ধ হয়। 



ধন্য বাদ সহ

ডাঃ কাজল কুমার বক্সী (এইচ,এম,ও) আয়ুশ।

বগুলা, নদিয়া, ৯৪৭৪৬১১৮৭৮


Monday, August 31, 2020

নুতন কিংবা পুরানো আঘাত জনিত কারনে আর্নিকা মন্টানা ব্যবহার।


আর্নিকা মন্টানা-
                               আমরা কম বেশি অনেকেই জানি আর্নিকা মন্টানা একটি বহুল ব্যবহৃত হোমিওপ্যাথিকওষুধ ।নুতন কিংবা পুরানো যে কোন আঘাত জনিত কারণে উপসর্গ অনু্সারে এই ওষুধটি হোমিও প্যাথিক  চিকিৎসকরা সাধারনত দিয়ে থাকেন। শিশু থেকে বয়স্ক সবার জন্যই এই ওষুধ বিশেষ উপকারি। অনেকেই আর্নিকা তাদের  ছেলেমেয়েদের জন্য বাড়িতে কিনে রেখে দেন।

                                                         আঘাত জনিত কূফল গুলো এই  ওষুধে সহজেই সেরে যায় এবং খুব তাড়াতাড়ি রুগি তাঁর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে।অজ্ঞান হয়ে গেলেও এই ওষুধ কার্যকারি। ওপারেশেনের আগে ও পরে আর্নিকা খাওয়া যায়।দাঁত তোলার আগে ও পরে এই ওষুধের তুলনা হয়না। মায়েদের সন্তান প্রসবের পরে আর্নিকা একটি মহা ওষুধ।

মাথায় আঘাত লাগলে সবচেয়ে বেশি উপকারী এই জীবন দায়ী ওষুধটি।তবে দেরী কেন? হোমিও চিকিৎ সা করান ও ভালো থাকুন।অতি পুরাতন আঘাতে এই ওষুধ দিলেও ভালো কাজ করে।সামান্য রক্ত সহ ছুলে গেলে আর্নিকা ব্যবহার করা যায় । এই ওষুধের বাহ্যিক ব্যবহার এর জন্য মলম ও পাওয়া যায়।অতিরিক্ত কায়িক পরিশ্রমে মাংস পেশী ও সা রা শরীরে ব্যথা হলে কিংবা রোগভোগে দীর্ঘ দিন শুয়ে থাকার জন্য বেড সোরে আর্নিকা ব্যবহার করা হয়।

আঘাতে চোখের চারপাশে কালশিটে পড়লে ও ভিতরে রক্ত জমে গেলে আর্নিকার থেকে ভালো রেমিডি আর হতেই পারেনা।

হোমিও প্যাথি ওষুধের গায়ে শক্তি মাত্রা লেখা থাকে। আঘাত জনিতর জন্য ৬,৩০, ও ২০০ শক্তি ব্যবহার করা যেতে পারে। দিনে তিন থেকে ছয় বার দিতে পারেন । প্রয়োজনে চিকিৎ সকের পরামর্শ নিন।



👪


                  ধন্যবাদ সহ 

                                                      ডাঃ কাজল কুমার বক্সী(এইচ, এম ,ও)

বগুলা, নদিয়া.৩১/৮/২০




Friday, January 31, 2020

স্বপ্ন

                         স্বপ্ন

                                        ডাঃ কাজল কুমার বক্সী


সব গাছেতেই দিলেম ঝাকি 
বেল গাছটায় বাকি,
টুপুস করে পড়লো বেল
চাঁদি ফাটলো নাকি?

সব ফুলেরই গন্ধ শুঁকি
শিমূল ফুলটায় বাকি
পথের উপর ঝরলো  শিমূল
কুড়িয়ে নিল খুকি।

সব বাগানেই মারছি উঁকি
 পেয়ারা বাগান বাকি
মুঠোয় ভরা লংকা লবন
অংক কষায় ফাঁকি।

সব  দুয়ারে একলা ডাকি
রাজার  দুয়ার বাকি
রাজার  ছেলে  মেললো চোখ
স্বপ্ন দিলেম আঁকি।


          বগুলা, নদিয়া, ৩০/১/২০২০

Thursday, January 30, 2020

কচ্ছপের ছানা

                                    কচ্ছপের ছানা

                                              ডাঃ কাজল কুমার বক্সী
                                                

কচ্ছপের ছানা গুলো
বালি থেকে বেরিয়ে,
ঝটাপট  যায় চলে
তট ভূমি পেরিয়ে।

খুদে খুদে শত শত
ওরা সব চলছে,
বাজেদের ছোবলে
কেউ কেউ মরছে।

সাগরের ডাকে যারা
প্রাণ পণে  ছুটছে
বাচা মরা লড়াইতে
হাবু ডুবু খাচ্ছে।

একদিন বড় হয়ে 
এরা সব ফিরবে 
বালি খুঁড়ে সাদা সাদা
ডিম গুলো পাড়বে।

তার পর নীল জলে
বুক খানা ভাসাবে,
ফেলে যাওয়া দাগ গুলো
ধীরে ধীরে হারাবে।।

                    বগুলা ,নদিয়া,

৩০/১/২০২০






                                   

Saturday, December 28, 2019

বাংলা দেশী পিসি

                              বাংলা দেশী পিসি

                                                               ডাঃ কাজল কুমার বকসী


খুক খুক কাশি 
        আর
 খ্যাক খাক হাসি,
এই নিয়ে বেচে আছে বাংলা দেশী পিসি।

ত্যাড়া ত্যাড়া বুলি 
       আর
ছেঁড়া ফাটা ঝুলি
এটা তার সম্বল তাই পেয়ে খুশি।

রোগা রোগা হাত
      আর
ফাঁকা ফাঁকা দাঁত
রোজ খায় পান সুপারি গুনে গুনে সাত।


নড় বড়ে ঘর
     আর 
বালি বালি চর
ভয়ে ভয়ে থাকে পিসি দিন ভর  রাত।

গুন গুন গান
   আর  কালা দুই কান
সকলকে ভালোবাসে নেই তার পর।

শাক পাতা ডাল
     আর
বেশি বেশি ঝাল
 পিসি একা খেয়ে নিয়ে ঘোরে চিরকাল।

শুন শান পাড়া
     আর
 রুপো ঢালা চাঁদ
গাঙ দিয়ে নৌকা বয় তুলে দিয়ে পাল।
 বগুলা/ ২৮/১২/২০১৯















                                     

Sunday, December 1, 2019

পদ্ম বাঁওড়




বাংলা নদী নালা,খাল বিল বাঁওড় এর প্রাচুর্যে বরাবরই প্রানবন্ত।প্রতিটি জলাশয়ই তার ভিন্ন ভিন্ন মাধুর্যে চিরসজীব।সে কখনো শীতের কুয়াশায় একাকি শান্ত সমাহিত আবার কখনো বর্ষার অবিরাম ধারাপাতে ভীষনই মিষ্টি মূখর। টলটলে জলে ভরা বাঁওড় গুলো যেন সারা গায়ে সু গন্ধি অলিভ ওয়েল মেখে শীতের রৌদ্রে চুপি চুপি স্নান সেরে নেয়। পান কৌড়ি,মাছ রাঙ্গা,সাদা বকের দল ঝুপ ঝুপ করে মাছ তুলে নেয় লম্বা সুঁচালো ঠোট গুলোতে।
কিন্তু এই অতি আপন জলাশয় গুলো আজ কাল নানা ধরনের পরিবেশ দূষনের শিকার। আমি বারে বারে এদের কাছে ছুটে ছুটে যাই এক অজানা নাড়ীর আকর্ষণে। তার জন্য এই ছড়া।

                                             পদ্ম বিল
                                           ডাঃ কাজল কুমার বক্সী

সবুজ সবুজ ছায়ায় ছায়ায় 
একলা থাকি বেশ, 
শীতল শীতল  জলের বুকে
আলতো ঢেউ এর রেশ।

রোদের আদর শরীর জুড়ে
বইছে বাতাস ধীরে,
বকের ঠোটে মাছের পোনা
ফিরছে বধূ ঘরে।
গায়ের লোকে নাইতে এলে
মনটা ওঠে দুলে
জল ছিটিয়ে পাড় ভিজিয়ে
খেলছে সবাই মিলে।

সাঁঝের বেলায় রঙ বাহারি
কুসুম ভেঙ্গে ঝরে,
পদ্ম পাতায় হীরের দোলা
শান্ত চরা চরে।।

ভোটা চাটনি

ভোটা চাটনি চাই গো ,ভোটা চাটনি চাই?  ও ভাই , ভোটা চাটনি কি? ওই চাটনির তো কখনো নাম শুনিনি। দাদা এই চাটনির অনেক গুন, একবার খেয়েই দেখুন না কিরক...