Friday, November 19, 2021

ইচ্ছে ডানা (৩)

 ইচ্ছে ডানা(৩)🚙🚙

হাফ লং স্টেশনে সামান্য কিছু ফলাহার করে আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম হোম স্টের  উদ্দেশ্যে। হোম স্টে পাঠানো আমাদের গাড়ি আনেক আগেই স্টেশনে অপেক্ষা করে দাঁড়িয়ে ছিল। এক রাশ চাপা আনন্দ বুকে নিয়ে গাড়ীতে গিয়ে বসেছিলাম।আবহাওয়া এখন অনেকটা পরিস্কার ওঝলমলে ।ঐ দেখা যায় দূরে সার সার পাহাড়ের চূড়া।দুধসাদা পাতলা্মেঘের লেই যেন ঢালা পাহাড়ে পাহাড়ে।নীল সবুজের মিশেল রঙ্গে রাঙ্গানো সারা অবয়ব।নীচের  দিকে তাকালে দৃষ্টি হারিয়ে যায় গভীর গিরি খাতে। আর হয়ত ওখানে একে বেঁকে চলেছে কোন পাহাড়ী জলের ধারা।চিন্তা ও মননে তখন খুশির হাওয়া দোল খেয়ে চলেছে অনবরত। সুশ্রী এক যূবকের হাতে স্টিয়্যারিং। চড়াই উতরাই পেরিয়ে আমাদের ক্যারাভ্যান তখন এগিয়ে চলেছে পরিস্কার পাকা রাস্তা ধরে সামনের দিকে।🌄🌄

🚐🚐

আমাদের টূরিস্ট লজের নাম বার্গ  সেইন রেসিডেন্স। হাফ লং শহরের লেকের কাছেই বেশ সাজানো গোছানো দোতলা এই রেসিডেন্স। সিড়ি বেয়ে ছাদে উঠে গিয়ে দেখলাম প্রকৃতির অপরুপ শোভা মেলে ধরা আছে সারা দিগন্ত জুড়ে। যেদিকে তাকানো যায় সেই দিকেই  শুধু সুবিস্তৃত গিরি সারি।অলস মেঘের দল বেধে ঘুরে বেড়ানো তো আছেই।দুই পাহাড়ের মাঝে সিল্ভার রঙের রেল ব্রীজ দেখা যাচ্ছিল খুব ভালো ভাবে।ছাদের ছাউনির নীচে সাজানো চেয়ারে বসে কিছুক্ষন দেখলাম প্রকৃতির মিনিটে মিনিটে পাল্টে যাওয়া রুপ।অনেক দিন পর কোলাহল মুক্ত পরিবেশে অবকাশ পেলাম তারিয়ে তারিয়ে ঘন সবুজের মাঝে নিজেকে সপে দিতে।ভোর বেলা আবছা কুয়াশায় ঢাকা পাহাড় চূড়ার মুখ আরো দেখতে ভালো লাগে। ক্যামেরা বাগিয়ে ফটো তোলা হল চুপচাপ বেশ কয়েকটা।📸📸🎥🎥


🏠🏠

হাফলংকে কেন্দ্র করে আশেপাশে বেশ কয়েকটি খুব ভালো ঘোরার মত জায়গা রয়েছে,। হাফ লং শহর ও লেক, জাতিঙ্গা ফরেস্ট ও ঝরনা, খাশিয়া গ্রাম ,বিভিন্ন ভিউ পয়েন্ট এবং চার্চ।সময়ের অভাবে  ভালো করে দেখা না হলেও মন জুড়িয়ে গেছে  বলাই বাহুল্য। পাশেই ছিল বাধানো ছবির মত সার্কিট হাউজ। সার্কিট হাউজের ভিউ বেশ মনোরম ও সুবিশাল। অনেক অনেক ফ্যামিলি ফটো তোলাহয়ে ছিলো এখানে।আমাদের ছেলে মেয়ে দারুন উৎসাহ ও আনন্দ নিয়ে প্রকৃতির সঙ্গে মিলে মিশে ছিলো।প্রথমে সার্কিট হাউজ ঘুরে গাড়ীতে করে তারপর জাতিঙ্গা। এখানে প্রকৃতি ,পাহাড় ও ঝরনা মিলে মিশে একাকার।ঝরনা্র কাছে খাশিয়া জনজাতির মানুষ দৈনন্দিন কাজ কর্ম খুশি মনে সারছিল দেখতে পেলাম।

আর আমরা হারিয়ে ছিলাম নিজেকে । ভুলেই গিয়ে ছিলাম কোথায় গিয়েছিলাম আমি  সেদিন।🌼🌿🐟🍂🌳

লজের ছাদ থেকে 

সার্কিট হাউজ

বার্গ সেইন টুরিস্ট লজ


Tuesday, November 9, 2021

ইচ্ছে ডানা (২)

  ইচ্ছে ডানা(২)🐦🐦

         যেহেতু আমাদের হাফ লং যাওয়ার ট্রেন ভোর সাড়ে ছয়টায় সেই হেতু আমরা গভীর রাত্রেই শিয়ালদহ স্টেশনে পৌছে গিয়ে ছিলাম। কোভিদের নানা রকম বিধি নিষেধ থাকায় স্টেশনে এক জায়গায় বসে থাকা যাচ্ছিল না। কিছু ছবি ভিডিও তুলে সকাল সকাল সবাই মিলে আমাদের নির্দিষ্ট  ট্রেনে উঠে পড়েছিলাম।ভয়,উন্মাদনা  ও নতুনকে আবিস্কার করার তীব্র আগ্রহ নিয়ে বসে ছিলাম জালানার পাশে।

🚆🚆

সময়ের সাথে সাথে একে একে পার হয়ে গেলাম বর্ধ্মান, মালদহ, ফারাক্কা ব্যারেজের অতলান্ত জলের প্রবাহ ও বাঙ্গালির চির পরিচিত নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন। ট্রেন আসামের ভিতরে আসতেই সবুজের অভ্যর্থনা শুরু হল। উকি দিল কুয়াশায় ঢাকা আবছা পাহাড় চূড়া। কচি ধানের ক্ষেত দিগন্ত জোড়া বিস্তৃত ।এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত যেন সবুজের গালিচা পাতা। ঘন জংগলের ভিতর থেকে মাথা উচু করে সারি সারি দাঁড়িয়ে ছিল সরু সরু বাঁশের গাছের দল।

🌴🌴🌲🌲🎋

হাফ লং শৈল শহর টি গৌহাটি থেকে ৩১০ কিমি দূরে।আসামের ডিমা হাসাও জিলার মধ্যে শহরটির অবস্থান।পর্যটক,প্রকৃতি প্রেমিক,ও ফটোগ্রাফাদের জন্য এই ছোট্ট শহরটি তার নানা রকম বৈচিত্রতার ডালা সাজিয়ে নিয়ে যেন বসে আছে।আমরা যখন বেলা দশটা এগারোটা নাগাদ হাফ লং স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমেছিলাম তখন অন্য এক অনূভূতি সারা শরীরকে আবিষ্ট তুলে ছিল।রাশি রাশি পেঁজা নরম সাদা তুলোর মেঘ আকাশে। পাহাড়ের চূড়ো গুলো ছুয়ে ছুয়ে তারা ভেসে যাচ্ছিল এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ের দিকে। চির সবুজের ছায়ার কোলে শান্ত নিরাবিল হাফ লং যেন আমাদেরই অপেক্ষায়।কিছুক্ষন  দাঁড়িয়ে থাকার পর আমাদের শিয়ালদহ শিলচর স্পেশাল ট্রেন হর্ন বাজিয়ে শিলচরের উদ্দেশে রওনা দিল।🚉🚉

                                    ধন্য বাদ সহ

ডাঃ কাজল কুমার বক্সী(এইচ,এম,ও)







Sunday, October 10, 2021

ইচ্ছে ডানায়।(১)

👪 প্যন্ডেমিক এর জন্য প্রায় দুই বছরের বেশি কোথাও তেমন বেড়াতে যাওয়া হয়নি। মনটা উড়ু উড়ু করছিল একটু বাইরে ঘুরে আসতে। ঠিক করে ফেললাম সেজন্য হাফলং গৌহাটি হয়ে শিলং ভ্রমনের দিন ক্ষণ । সঙ্গে আমাদের বন্ধু সম বিজন  আর ওর স্ত্রী  ও মেয়ে। আমরা চার জন। যাওয়ার দিন যাবো শিয়ালদহ- শিলচর স্পেশাল ট্রেনে করে। ট্রেন ছাড়বে ভোর সাড়ে ছয়টায়। পৌছেতে পৌছতে পরের দিন  সকাল সাড়ে দশটা।


দুর্গা পূজোর পর পরই বেরিয়ে পড়বো। স্বাস্থ্য বিধি মেনে কপাল ঠুকে টা-টা বাই বাই করে  আমরা সাত জনাতে উঠবো ট্রেনের কামরায়। এখন অনেক সুবিধা । সব কিছুই অন লাইনে বুক করা যায়। আমাদের হোটেল বুক  হয়ে গেছে অনেক আগেই। হাফলং ,গৌহাটি ও শিলং এ। নিজের দেশ টাকেই ভালো করে দেখাই হয়নি এ অবধি। অনেক ইচ্ছা থাকলেও অনুকুল পরিস্থিতি হয়নি। যাক সে কথা। ওখানকার আবহাওয়া ভালো থাকলে বেড়ানোটা সুখকর হবে আশা করা যায়।

ঘোরা ফেরা ,খাওয়া দাওয়া,ছবি ভিডিও তোলা, রিভিউ লেখা অনেক কিছু  চলবে এক সঙ্গে ।যেহেতু ভোরে ট্রেন সেই জন্য আগের দিন রাতেই সকলকে শিয়াল দহ ষ্টেশনে ওয়েটিং রুমেই অপেক্ষা করতে হবে। শিয়াল দহ থেকে অনেক গুলো ট্রেন যায় এই পথে। যাওয়া যায় শিলচর, এমন কি ত্রিপুরাতেও।আসামে ত্রিপুরাতে বেশ কয়েক জন পরিচিত মানুষ ও বন্ধু রয়েছে। বহু কাল ওদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাত নেই কোনো। বিজন ও  তাঁর স্ত্রী প্রতি বছর ঘুরতে যায় । ওদের অনেক উৎসাহ ও অভিজ্ঞতা রয়েছে।👪 আজ এই অবধি। পরে আরো লিখব। 



ডাঃ কাজল কুমার বক্সী(এইচ,এম,ও)




Wednesday, August 25, 2021

বিবাগী বৃষ্টি

বিবাগী বৃষ্টি

ডাঃ কাজল কুমার বক্সী(এইচ,এম,ও )


যাক বৃষ্টিরা এ বছরের মতো

খাল,বিল ,নদী নালা  টই টম্বুর করে

শব্দ হারা  একলা বিবাগী।


আলো মতীর  খেলায়👩👩

নির্ভেজাল হাসিতে ছড়ায় শীতের খুশবু।

দুল দুলানি নাগর  দোলায়  আমোদিনী।


ঘুরন্ত জীবনে গলে গলে পড়ে আহ্লাদ,

রঙিন দীপ্র আলোতে  ঝক ঝকে দীপ্তি ময়ী ।

হাত ছেড়ে  বেলুন উড়ে যায়  একাকী।🎈🎈


ঝিমিয়ে পড়া ভাঙ্গা মেলা,

চৌকো চৌকো  মুখের বিষন্ন মানুষের  দল

সার্কাসে  হারায়  ক্ষূদাতুরা কিশোরী।👧👧


বৃষ্টি  চলে গেছে, রাস্তা  শুকিয়েছে

কাশ ফুলের মতো দোল  খায়  শরীর,

আনন্দ  মাথায়  করে ফেরে মানব মানবী।👬👬









Monday, August 23, 2021

যখন

 যখন

ডাঃকাজল কুমার বক্সী(এইচ ,এম,ও)

যেই বাড়ালে হাত

ফুড়ুৎ করে পালিয়ে গেল

দুঃস্বপনের রাত।


যেই পাঠালে ছবি

চিক মিকিয়ে উঠলো হঠাৎ

সাত সকালের রবি।



Wednesday, May 5, 2021

পথ


                          পথ
ডাঃকাজল কুমার বক্সী(এইচ,এম,ও)

ঢাউশ রাস্তাটা বড্ড সুন্দর বানিয়েছোতো হে রাজন,
কঠিন কালো পিঠ বেয়ে চলে শবের শকট।নিস্পেষিত কোনো যূবকের পিঞ্জরে
                                                  দেখ ফুটেছে লাল টকটকে কৃষ্ণ চূড়া।
হে রাজন, সীমাহীন এই প্রশস্ত রাজ পথে সবুজেরা কেমন অভ্যর্থনা জানায় তোমাকে।

রিক্ত ক্লিষ্ট মানুশের দল কুয়াশায়  ঢেকেছে মুখ মোড়ে মোড়ে।


ভারী অপরুপ এই রাস্তার মসৃনতার ধারা। ।লজ্জা পেয়েছে আজ তোমার ছায়া সঙ্গীনিরা ।
সন্তান হারা কোনো মা  আবার এই পথেই কেমন দিশাহারা।

পিল পিল করে চলেছে কালো চাকার সারি।
পলাশ সোনা ঝুরি ফুল বিছিয়েছে তাদের কোমল শরীর।
উলঙ্গ ছেলে তোমার চুমুর অপেক্ষায় বসে আছে বুঝি।

হাতে গুন্তে গুন্তে যাও ঘর হারাদের ছাই গাদা

হলুদ করবীর ছায়ায় বল জীবনের এই পথ বড্ড মায়া ময়।

হে রাজন ,পথে বসা শূন্য হাতে অজানা কত মানুষ,
তোমারি যত্নে তৈরী রাস্তায় , তোমারি রাজ্য পাটে,
জরা জীর্ন বাতাস ঠেলে উঠে নিভে যায় কত স্বপ্নের  ফানুস।

এই পথে নেচে নেচে চলে গাঁয়ের বধূরা নব জীবনের গানে
পোড়া বই আর খাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে তোমারি প্রজন্ম
দলে দলে মানুষ ছুটে চলে এই পথে খই  বাতাসা নিয়ে ।
 
                                                   



         

Monday, April 26, 2021

বিষণ্ণ

                                                                                   বিষন্ন শহর
ডাঃ কাজল কুমার বক্সী(এইচ, এম ,ও)

বিষণ্ণতায় জুবুথুবু অতি চেনা শহর,
রাজ পথে শোণিতের পদ চিহ্ন।
বিজয় রথ আতঙ্ক ধূম্র জালে নি শ্চল।



সমাজ সমারোহ অনাহুত আগন্তুক।
প্রবাসী বিস্মৃত নিজ আপন নীড়।
গভীর দাগ ফেলে যায় অধিকারের চাবুক।

ঘুম ভাঙ্গানীয়া দোয়েলের শিস
সবেদা ফুলের ভোরের মৌমাছি গুন গুন।
অদৃশ্য বাতাসে বারুদের সাদা ঘন বিষ।

এক বালতি জলে মুছে যায় জীবনের শে ষ দাগ।
হুংকারে তান্ডবে আঙ্গুলের কালি ঝলকায়,
দিন বদলে গলে যায় জমানো কঠিন রাগ।

প্র ণম্য গণতন্ত্রের ধূলি মাখা শ রীর
গরুর দুধের বদলে পাতলা মাড়  ভাত। 
অচেনা সবাই ,মুখে মুখে রঙ বেরঙ্গের আবির।















Friday, April 16, 2021

ডুব

ডুব

ডাঃ কাজল কুমার বক্সী (এইচ,এম, ও)

ডুব  দিয়েছে  গোল সূর্যি🌄🌅

ডুব দিয়েছে পান  কৌড়ি,

ঘোমটা টেনে  কুসুম রঙের

বসে আছে  জুঁই বাউড়ি।





ডুব দিয়েছে হাঁসের দল🦆🦆🦆

ডুব দিয়েছে সোনা মানিক,

ছায়ার কোলে মাছের খেলা

সবুজ ডালে গাঙ্গের শালিক।🐦🐦🐦🐦


🐸🐸🐸🐸ডূব দিয়েছে কোলা ব্যাঙ

ডুব দিয়েছে হলদে সাপ,🐍🐍🐍

একটা শালুক ভাসছে দেখি

মাছ রাঙ্গাতে দিচ্ছে  ঝাঁপ।🐦


ডুব দিয়েছে রাতের চাঁদ🌛🌙

ডুব দিয়েছে হাজার তারা,

টলটলে জল একটা পুকুর

হরেক রকম ছন্দে ভরা।🌞🌞🌞🌞





Friday, March 12, 2021

বাঘের ছাও

বাঘের ছাও🐯🐯

ডাঃ কাজল কুমার বক্সী(এইচ, এ্‌ম ও )

💊💊

ছোট্ট একটা টিনের নাও🛥🛥🛥🛥

চড়তে এলো বাঘের ছাও।

মাসির পোলা ঘোরে ফেরে

নাও ভেড়ে না কোনো তীরে।

ভয়ে মরে ছানার বাবা ,

চোখ হয়েছে ড্যাবা ড্যাবা।

পূব আকাশে উঠল ঝড়,

পড়ল বাজ কড়াত কড়।


বনের পশুর সাহস দেখে🐯🐕🐕

কুকুরগুলো উঠল ডেকে।

বাঘের ছাও আপন মনে

নৌকা বায় সোতের পানে।

হঠাৎ করে একি  হল,

নৌকা খানা উলটে গেল।


দিচ্ছে সাঁতার বাঘের  ছাও ,

হারিয়ে গেল টিনের নাও।।🛥🛥






Thursday, March 4, 2021

প্রত্যাশা

প্রত্যাশা🍂🌼

ডাঃ কাজল কুমার বক্সী

                    (এইচ,এম, ও )

ভালো না লাগার নিঃসঙ্গ রাত্রিরা,

কালো বোরখায় ঢেকেছে মুখ।

ঘুম চলে গেছে খিড়কি খুলে ।

বিরহের দুটো ক্রিম বিস্কুট

আর বৈধব্যের গ্লূকোজ সরবত হাতে।🌸


তুমি যে আসবে বলে ছিলে,

রাত্রের শেষ ট্রেনটাও মিলিয়ে গেল ওই সীমান্তে,

নিজের হাতেই লিখেছি ভালোবাসার কবিতা।

আয়নায় দেখেছি মুখ বারে বারে ।🌸

কিন্তু কোথায় হারালে তুমি?

ভোরের নুতন আলোর দল

ছোট্ট জানলায় আছড়ে পড়ে এক সাথে।

নীরবতা ভাঙে কালো কাকের কর্কশ স্বরে,

নিষ্ফল প্রত্যাশা ফিঁকে হয়ে আসে

 নুতন কোনো রঙিন প্রতীক্ষার মোড়কে।🌸




 🍁🍁🌿

Tuesday, March 2, 2021

বৃষ্টি

ডাঃ কাজল কুমার বক্সী

তুমি বলেছিলে    
বৃষ্টি নামাওতো দেখি কেমন পারো।
অদম্য তৃষ্ণার জলটুকু
যদি না পার দিতে।

বৃষ্টি এসেছিলো
তোমার চলে যাওয়ার শেষ চিহ্ন মুছে।
ফিরে না আসার 
বেদ বাক্য জানিয়ে।

বৃষ্টি আসে 
 বৃষ্টি থেমেও যায়।
শীতলতার চাদর মুড়ি দিয়ে
বারিপাতের মেলোডি শুনতে শুনতে
শুকনো ঠোট গুলো ভিজিয়ে নিই।
বাইরে নরম কাঁদা মাটিতে গড়াগড়ি খায়
স্নাত খয়েরি পালকের এক গাঙ শালিক।


 

ভোটা চাটনি

ভোটা চাটনি চাই গো ,ভোটা চাটনি চাই?  ও ভাই , ভোটা চাটনি কি? ওই চাটনির তো কখনো নাম শুনিনি। দাদা এই চাটনির অনেক গুন, একবার খেয়েই দেখুন না কিরক...