Monday, September 28, 2020

সেই পথ

                                        সেই পথ   

                    ডাঃ কাজল কুমার বক্সী

ফিরিয়ে দেবে কি তোমরা আমাকে

লাল মোরাম বিছানো সেই অতি আপন পথটিকে?

যেখানে সুদীর্ঘ ইউক্যালিপটাসের ঝাঁঝালো সুগন্ধ ছিল ভরপুর।

যে পথে অগুনতি শাল পলাশের নির্বাক মায়া মাখা ছায়ায়,

হঠাৎই খুঁজে পাওয়া যেত নাম না জানা চেনা পাখিটিকে।


ফিরিয়ে দেবে কি তোমরা আমাকে সেই পথ,

যে পথের অন্তিমে মিলতো টলটলে জলের একটা গোটা আয়না।

উষ্ণ হাওয়ার দল ডুব দিয়ে ফেরে বারে বারে

শীতল হতে হতে  হারিয়ে ফেলে নিজেকে কোথাও

আর  শব্দ হীন রাতের আধাঁরে চাঁদ ঢালে জ্যোছনা।


সেবাভারতী স্কুলের পিছন দিয়ে যে পথ

বুক চিতিয়ে বেরোতো এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।

ঝাঁক ঝাঁক ছাত্র ছাত্রীর পথ চলার কলরবে কোলাহলে

যেখানে মুখর হতো সারাটা বেলা ,সারাটা প্রাঙ্গণে,

সূর্য্য ঢলে পড়তো পলাশে আগুন দিয়ে দিনান্তে।

তোমরা ফিরিয়ে দেবে কি সেই পথ?

যে পথে বুনো ফুলেরা গালিচা হয়ে জানাত স্বাগত।

সাঁওতালী রমনীর নগ্ন পায়ের আলতার  রঙে

লালচে রাস্তা আরো লাল হয়ে উঠতো লজ্জায়

থরে থরে গোলাপেরা যেখানে একান্তে প্রণত।


ফিরিয়ে দেবে কি তোমরা সেই চির সবুজের পথটিকে?

যে পথে আজও মাদল ধামসার গম্ভীর তাল বাজে,

কোমর জড়িয়ে দল বেধে নাচে উজ্জ্বল মেয়েরা ,

আমি না হয় দেখবো অবাক করা চোখে

আপন মনে একা একাই নরম আলোর সাঝেঁ ।


ধন্য বাদ সহ

ডাঃ কাজল কুমার বক্সী

বগুলা, নদিয়া, ২৮/৯/২০



 








No comments:

Post a Comment

ভোটা চাটনি

ভোটা চাটনি চাই গো ,ভোটা চাটনি চাই?  ও ভাই , ভোটা চাটনি কি? ওই চাটনির তো কখনো নাম শুনিনি। দাদা এই চাটনির অনেক গুন, একবার খেয়েই দেখুন না কিরক...