আমাদের গ্রামের রাস্তা ধরে কিছুটা এগিয়ে গেলেই একটা গোটা বিল পাওয়া যায়।ছোটো বেলায় দেখেছি বর্ষা আসলেই সারা বিল জলে ভরে যেত।চারি দিকে জল আর জল।অনেক জল হত বলে আঁধার বিল নামেই ডাকে সবাই। জল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবুজ ধান গাছ গুলোও বাড়তে থাকতো ।আমন ধান।নৌকা করে ধান কেটে বাড়িতে গরু দিয়ে মাড়িয়ে গোলায় ভরে রাখা হত।ঢেকিতে ধান ভেনে মোটা আমনের লালচে চাল পাওয়া যেত। সকাল বেলা পায়েষের মত ফ্যান বা মাড় ভাত খেজুর গুড়ের সঙ্গে সবাই মিলে খেয়ে নিতাম।অর্থাভাব থাকলেও খিদে ওস্বাদএর খামতি ছিল না। বর্তমানে বিলটা ছোটো হয়ে আসছে। বসতি দিনের পর দিন তার বুকের উপর চেপে বসেছে।জলের আর কলাৎ কলাৎ শব্দ নেই।চারিপাশে অনেক জঙ্গল তৈরী হয়েছে।এইতো আমার বাড়ীর পিছনে বাঁশ, আম, জাম ও খেজুরের ঘন জঙ্গল। শেয়াল বাবাজিরা শীত পড়তেই হুক্কা হুয়া প্রহরে প্রহরে ডাকতে শুরু করেছে। আর সেই জন্য এই ছড়াটি লেখা।
আঁধার বিল ও শেয়াল
ডাঃ কাজল কুমার বক্সী
সন্ধ্যা হলেই আঁধার বিলে
ডজন ডজন শেয়াল ডাকে
কেউবা ধেঁড়ে কেউবা কচি
চোখ দেখা যায় ঝোপের ফাকে।
হাঁসের খাঁচায় সুযোগ পেলে
কামড় বসায় এক নিমেষে
উধাও হবে বাঁশের বনে
নয়কো ওরা ভয় তরাশে।
খেক শেয়ালী চুপি সারে
চিবিয়ে খেল কাঁকড়া ধরে
গর্ত করে আলের ধারে
দিব্যি আছে আয়েষ করে।
আঁধার বিল কালো জল
সবুজ সবুজ শ্যাওলা ভাসে
পদ্ম ফোটে শালুক হাসে
ঢেউ খেলে যায় সাদা কাশে।
বিলের পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে
হোতকা শেয়াল তিনটে
মাছ খেয়েছে গোটা কতক
গন্ধ বেরোয় আঁশটে।
চাঁদ ভেসেছে শান্ত জলে
ডিঙ্গি বাধা আলতো করে।
শেয়াল ফেরে বাসার দিকে
পদ্ম পাতায় শিশির ঝরে।
বগুলা, নদিয়া। ৬/১১/২০১৯
আঁধার বিল ও শেয়াল
ডাঃ কাজল কুমার বক্সী
সন্ধ্যা হলেই আঁধার বিলে
ডজন ডজন শেয়াল ডাকে
কেউবা ধেঁড়ে কেউবা কচি
চোখ দেখা যায় ঝোপের ফাকে।
হাঁসের খাঁচায় সুযোগ পেলে
কামড় বসায় এক নিমেষে
উধাও হবে বাঁশের বনে
নয়কো ওরা ভয় তরাশে।
খেক শেয়ালী চুপি সারে
চিবিয়ে খেল কাঁকড়া ধরে
গর্ত করে আলের ধারে
দিব্যি আছে আয়েষ করে।
আঁধার বিল কালো জল
সবুজ সবুজ শ্যাওলা ভাসে
পদ্ম ফোটে শালুক হাসে
ঢেউ খেলে যায় সাদা কাশে।
বিলের পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে
হোতকা শেয়াল তিনটে
মাছ খেয়েছে গোটা কতক
গন্ধ বেরোয় আঁশটে।
চাঁদ ভেসেছে শান্ত জলে
ডিঙ্গি বাধা আলতো করে।
শেয়াল ফেরে বাসার দিকে
পদ্ম পাতায় শিশির ঝরে।
বগুলা, নদিয়া। ৬/১১/২০১৯
No comments:
Post a Comment