Monday, August 14, 2023

শুভ সংবাদ।

শুভ সংবাদ

শুভ সংবাদ, শুভ সংবাদ ।আগামি কাল আমাদের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় শ্রী যুক্ত সুখ বিলাস পন্ডিত  এই গ্রামে পদার্পন  এবং গ্রাম পরিদর্শন করিবেন। মাননীয় মন্ত্রী মহাশয়েরএই শুভ আগমন হেতু এই  গ্রামের সকল রাস্তা ঘাট ,খানা খন্দড় মেরামত এবং রাস্তার দুই পার্শ্বের যত গাছ পালা পরিস্কার করা হইবে। গ্রাম বাসীর যাতায়াত এর অসুবিধা ও সার্বিক কল্যানের কথা ভেবে আমরা আজ রাত্রেই সুদুর বহরম পুর থেকে ভুতেল শ্রমিক আনয়ন করিয়া  সমস্ত কাজ সম্পন্ন করিবো। অতি প্রত্যুষে মন্ত্রী মহোদয়ের গতি পথ গঙ্গা জল দিয়া ধৌত ও শুদ্ধি করণ করা হইবে। আশা করি আপনারা এই কাজে আমাদের সঙ্গে সম্পূর্ন সহযোগিতা করিবেন।
শুভ সংবাদ শুভ সংবাদ........................।
আপনাদের আরো জানানো যাইতেছে যে আমাদের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় গ্রামে পাঁচটি শৌচালয় উদ্বোধন করিবেন ও গ্রাম বাসিকে বিশেষ ভাবে পুরস্কার দিয়া সম্নানিত করিবেন।আমরা এই বিশেষ দিনটিকে স্মরন রেখে এক বিরাট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যাবস্থা করিয়াছি । অনুষ্ঠানের প্রথমে রবীন্দ্র সংগীত , দুপুরে হিন্দি এবং সন্ধ্যায় বিহার থেকে আগত ভোজ পুরী শিল্পীর সংগীত পরিবেশিত  হইবে।
 আরো জানানো যাইতেছে যে, যাহাদের গৃহে পুষ্প উদ্যান রহিয়াছে তাঁহারা দয়া করিয়া পুষ্প চয়ন করিয়া রাখিবেন।মাননীয় মন্ত্রীর শুভ যাত্রা কালে  সকলে মিলিয়া পুষ্প বৃষ্টি  করিবেন এবং উলুধ্বনি ,শাঁখ বাজাইবেন।
শুভ সংবাদ, শুভ সংবাদ............।।
ও ভাইপো ....।তুমি একটু দাঁড়াবে । কাকা আমাকে ভাইপো বলবেন না ,ভাইপো বললে এখন অনেক কিছু বোঝায়। বলবেন ভাইব্যাটা।
কি বলছিলেন কাকা?
বলছি তুমি মাইকে বললে মন্ত্রী মহোদয় গ্রামে আসবেন, শুনে খুব ভালো লাগলো,তারপরে শুনলাম শৌচালয় হবে সেটাও ভাল । কিন্তু শৌচালয়ে গ্রামের মানুষ পায়খানা করবেতো?
-কাকা ,সেটা পরে দেখা হবে। আর একটা কথা বলছি , অনুষ্ঠান শেষ কি বাংলা জল পাওয়া যাবে তো?
কাকা সব পাওয়া যাবে।এপার বাংলার জল ওপার বাংলার জল সব থাকবে। দুই বাংলা মিলে মিশে এখন একাকার ।
-তার পর ভোজপুরী নৃত্য কি ব্যাটা ছেলে নাকি মেয়ে ছেলে করবে?
- কাকা, ব্যাটাছেলে করবে কেন? মহিলারা করবে। কিন্তু কাকা তুমি লুঙ্গি ভালো করে বেঁধে যেও ,বলা তো যায়না লুঙ্গি খুলে যেতে পারে।
যাও ভাইব্যাটা এগিয়ে যাও।
মন্ত্রী মহোদয়ের ভাষন পরের  রবিবার লেখা হবে।

 






Saturday, August 5, 2023

বাংলা দেশের প্রেমিক।

 - এই দাঁড়া দাঁড়া।তুই  এদিকে আয় ,এদিকে আয়।💔💔

এই বর্ডারের রাস্তা দিয়ে তুই কোথায় যাচ্ছিস? চেনা চেনা মনে হচ্ছে না তো! তুই কি ইন্ডিয়ান?

-না স্যার আমি ইন্ডিয়ান না। আমি একজন বাংলা দেশী নাগরিক।

বলিস কিরে? তোর পাস পোর্ট আছে। 

-না স্যার আমার কোনো পাস পোর্ট নেই ।

-কি সর্বনাশ! হাত উচু কর, হাত উচু কর।

- এদিকে আয় তাড়া তাড়ি ,তল্লাসি করবো ।

- স্যার আমার কাছে কিছুই নাই। কতোগুলা কলা আর এক হাজার টাকা আছে।

- তাইতো দেখছি।

তুই হিন্দু নাকি মুসলমান?

স্যার আমি হিন্দু ও না ,মুসলমান ও না ।

-তবে কি তুই?

স্যার আমি এক জন বাংলা দেশী প্রেমিক।

শালা, গুল মারার আর জায়গা পাসনি। পাছায় বাড়ি পড়লেই প্রেমিক বলা ছুটে যাবে।বাংলা দেশের কোথায় বাড়ি বল?

- স্যার যশোরের সুলটিয়া আমাদের বাড়ি।

- এখানে কিসের ধান্দায় এসেছিস ? ঠিক করে বলবি।নইলে......।

ওইতো স্যার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে ।

বিনা পাসপোর্টে তুই প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিস, তোর সাহস তো কম না।

কিভাবে আসলি বল ?

- স্যার দালাল ধরে। কিন্তু স্যার দালাল আমার সঙ্গে বেইমানি করেছে। দালাল বললো তুই এই পথ দিয়ে চলে যা আমি পরে আসছি। এখানে আসার পর দেখি পিছনে দালাল নাই।

আবার গুল মারছিস। হাবিলদার ডান্ডা লে আও।

- না স্যার আমি ঠিক বলছি। আল্লাহর কসম।

এইতো, তুই  মুসলমান আছিস। হারামি কোথাকার।

ভাবছিলাম কলা গুলো খাবো কিন্ত এখন আর খাওয়া যাবে না।

- তোর প্রেমিকার সঙ্গে কি করে যোগাযোগ হলো বল? কত দিন ধরে  প্রেম চলছে ?

স্যার ফেস বুকের মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে প্রথমে যোগাযোগ হয়। এখন প্রায় পাঁচ বচ্ছ র আমাদের প্রেম চলছে।

- তা তুই পাস পোর্ট করে আসলি না কেন?

-স্যার ধরা পড়ে যেতে পারি এই ভয়ে। ভারতে অনেকেই এখনো দালাল ধরে আসে।

একদম চুপ্‌ , আমাকে দালাল চেনাচ্ছে! 

- তোর প্রেমিকার নাম বল। বাড়ি কোথায়? মোবাইল নাম্বার দে।

- তার বাড়ি স্যার চেতলায় হিজড়ে পট্টিতে । মোবাইল নাম্বার হলো ২৩২৩৪৫৪৫৬৮। নাম শান্তনা মন্ডল।

-  হাবিলদার সাহেব ফোন লাগান ম্যাডামকে।

- জরুর সাব , ফোন দিচ্ছি।

- হ্যা স্যার ধরুন, রিং হচ্ছে।

- হ্যালো ম্যাডাম , আমি কলাগাছি বর্ডার পোস্ট থেকে বলছি, কমান্ডার সাহেব।

- হ্যা হ্যা বলুন স্যার।

- বলছি বাংলাদেশে আপনার কোনো পরিচিত লোক আছে?

হ্যা স্যার অবশ্যই আছে। আমার লাভার আছে। ওর নাম মকবুল। ওর আজকেই ভারতে আসার কথা আছে।

কিন্তু কেনো স্যার ?

মকবুল আমাদের হাতে ধরা পড়েছে। বিনা পাস পোর্টে ভারতে এসেছে। ওকে আমরা এক্ষূনি থানায় হ্যান্ড  ওভার করবো।

- না-না- স্যার ওকে থানায় পাঠাবেন না। যত টাকা লাগবে আমি দিতে রাজি আছি।

- ম্যাডাম আপনি কিন্তু বাজে কথা বলছেন। আমাকে কি আপনি ঘুষ দিতে চাইছেন? প্রোয়োজনে আপনাকেও তুলে নিয়ে আসবো। কার সঙ্গে কথা বলছেন একটু খেয়াল রাখবেন ম্যাডাম। বাই দি বাই ,আপনি ওখানে কি করেন? 

-স্যার আমি কি করি সেটা মকবুল কে বলা যাবে না।ও তাহলে কষ্ট পাবে। তবে আপনাকে আমি বলতে পারি।

- ঠিক আছে আপনি বলুন । ভয়ের কিছু নেই।

-- স্যার আমিও একজন বাংলাদেশী কিন্তু এখন আমি ভারতীয় । প্রায় সাত বছর আছি এখানে। সব কাগজ পত্র বানিয়ে নিয়েছি। আর পেটের দায়ে হিজড়া হয়েছি। তবে আমি আগে পুরুষ মানুষ ছিলাম।

আচ্ছা আচ্ছা তার পর কি করে হিজড়া হলেন।

- কি ভাবে আর, এখানে এক ডাক্তার বাবু আছেন ,উনিই অপারেশন করে হিজড়া বানান। ২৫ হাজার টাকা দিলেই হলো।

-শালা নেমকহারাম ,ভালোইতো ধান্দা বেছে নিয়েছিস। তোকে পরে দেখছি।

- গাল দিবেন না স্যার। দেশের বাড়িতে বাবা মা অসুস্থ  ছিল, তার পর বাড়ি ঘর সব ভাঙ্গনে খেয়ে নিলো।

বাঁচার জন্য কিছু তো করতেই হবে স্যার।

- তাহলে তুই কেনো মকবুল কে ফাঁসালি?

- আমি ফাঁসাইনি সাব। ওইই আমার প্রেমে পড়েছে। অনেক বার বলেছি , বুঝিয়েছি কিন্তু ওই ড্যামনা কিছুতেই বোঝেনা। শুধু বলে আমি তোমার কাছে যাবো।

- এই মুখ সামলে কথা বলবি। তোর প্রেম করা ঘুচিয়ে দেবো।

-স্যার আপনাকে বাপ বলছি মুকবুলকে ছেড়ে দিন। তাছাড়া মকবুলকে ও হিজড়া বানাবো ভেবেছি। কাগজ পত্র বানিয়ে দেবো চিন্তা নেই।

- ব্যাটা বদমাস। 

 স্যার গাল দিবেন না। তাহলে আমরা হাত্‌ তালি দিব আর আভিশাপ দিব। আপনার ছেলে মেয়ের অমঙ্গল হবে।

- চুপ্‌ কর হারামখোর। এমন পিটাবো দেখবি ...। ফোন ছাড় শালি।

- স্যার শান্তনা কি বললো?

- তোর মাথায় কি আছেরে মকবুল ? গরু  খেয়ে খেয়ে তুই একটা আস্ত আবাল হয়েছিস। শালা হিজড়ের প্রেমে হাবু ডুবু খেয়ে নদী সাঁতরে সোজা ভারতে চলে এসেছিস। সঙ্গে আবার কলা। বউকে কলা খাওয়াবি আদর করে নাকি?

হাবিলদার সাহেব মকবুল কে থানায় পাঠাতে হবে । গাড়ীতে  ওঠান ।

- কি বলছেন স্যার শান্তনা হিজড়ে? আমারতো সব সর্বনাশ হয়ে গেল স্যার। আমাকে জেলে পাঠাবেন না স্যার । আপনার হাতে পায়ে পড়ছি।  আমি কি করে বাঁচবো স্যার।

- হাবিলদার সাব কিছু বলবেন?

- বলছিলাম স্যার ,হিজড়াদের অভিশাপ ভালোনা। কখন কি হয়। ওকে ছেড়ে দিলেই ভালোহবে সাব।

আপনাকে কিছু ভাবতে হবে না। যা করার আমিই করবো । ঝামেলা বাড়িয়ে লাভ নেই। বেচারা একে ঠকে গেছে। 

 বলছেন? এই শোন মকবুল ,আবার কখনো যদি হিজড়ের প্রেমে পড়েছিস আর ভারতে বিনা পাস পোর্টে এসেছিস তোকে এমন মার মারবো তখন বুঝবি। যা ভাগ। বাংলা দেশী প্রেমিক।

হাবিলদার সাহেব ওকে বি ডি আর কাছে  পৌছানোর ব্যাবস্থা করুন । আমি সব ব্যাবস্থা করছি।

মকবুল ফ্যাল ফ্যাল  করে আকাশের দিকে চেয়ে থাকলো  অনেকক্ষন। চোখ দিয়ে টপ টপ করে জল পড়তে পড়তে ঝাপসা চোখে গাড়িতে উঠে বসলো।তার স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার আজ। যাওয়ার সময় কলা গুলো দিয়ে বললো" কলা গুলো আপনারা যদি খান তাহলে আমি সবচেয়ে খুশি হবো স্যার।

মকবুলের প্রেমের কোনো দোষ ছিল না। সীমানারও কোনো প্রতিবন্ধকতা ছিলনা । ছিলো শুধু  সমাজ ব্যাবস্থার অবক্ষয়ের ও জড়তার ছবি।👮👮

ডাঃকাজল কুমার বক্সী।

বগুলা, নদিয়া,

৫/৮/২০২৩
















-




Sunday, July 23, 2023

বউ

 ও আপন ভোলা নদীরে তুই

আয়-আয়-আয়।

ঘোমটা দিয়ে আমার বউটি আমার👩👩

যায়-যায়-যায়।

ও হলদে পাখি একটি বার,🐦🐦🐦

ডাক-ডাক-ডাক।

 ওই দেখা যায় চিকিয়ে ওঠে,

নাক-নাক-নাক।👃👃

বউটা আমার উদাস হল,

হায়-হায়-হায়।

নদীর পাড়ে ডাহুক চরে,

পায়-পায়-পায়..।

বুকের মধ্যে বাদ্যি বাজে,

ধক-ধক- ধক।

বউ ফিরে করলো শুরু,

বক-বক-বক।💓💓

বউ -বউ-বউ 


ডাঃ কাজল কুমার বক্সী

বগুলা, নাদিয়া,

২৩/৭/২০২৩/






Tuesday, July 18, 2023

হারায় যে নদী।

 হারায় যে নদী।

ডা:কাজল কুমার বক্সী

হারায় যে নদী অসহ অবহেলায় পলে পলে,

খুঁজি ফিরি বারে বারে পূতিগন্ধ অন্ধকারে।

দেখিনা মুখচ্ছবি কাক চক্ষু জলের হাহাকারে।

উৎস মুখ বন্ধ করা সেই নদী শুকায় অনাদরে।

এখনোতো শোনা বাকি কত গল্পগাঁথা সুখে তাপে,

মলিন ছায়ারা আজও কেঁদে যায় বারে বারে।

মাছরাঙা গাঙ্গ চিল ওড়েনা আর বুক চিরে। 


হারায় যে নদী অদম্য লোভের যাঁতা কলে,

আবর্জনার বেড়াজালে একা থাকে মৃত্যু কোলে।

নিত্যদিনের ছিঁড়ে খাওয়া নদীর বাকে বাকে, 

আমাদের  স্বপ্নেরা মরে চুপিসারে নিরাহারে। 

চিরচেনা বিলীন নদী তবু ডাকে  ইশারাতে,

পাড় দিয়ে হেটে চলি কখনো নিদারুন সন্তাপে।

Anjana river


Subarna rekha river 



Tuesday, September 27, 2022

গণেশ চন্দ্র পতি

 -- তোমার নাম কি?

__স্যার গণেশ চন্দ্র পতি।

-- কোথায় থাকো?

__ কোলকাতায়, পাঁতিপুকুরে স্যার।

__ ভালো।

--এবার বল তুমি কি পাশ করেছো?

--স্যার ২০১৫ তে এম ,এ পাশ করেছি।

--খুব ভালো।

-- আর কি জানো?

-- স্যার বেকার বসে ছিলাম , তাই একটু এল,এল,বি পাশ  করেছি।

-- তাই নাকি? বিশাল ব্যাপার।

আর কি কি জানো তুমি 

-- স্যার হোমিও প্যাথি, তার পরে কম্পিউটার ও জানি।

--বেশ বেশ , তুমি তো অনেক কিছু  জানো।

--হ্যা স্যার।

--তা তুমি লাঠি বাগিয়ে ছুটে ছুটে মারতে গেছো কখনো কাউকে?

-- না স্যার কখনো যাইনি।

-- কেন ? অন্য পার্টির লোক জনকে কিংবা পুলিশ কে মারোনি কখনো?

--কি বলছেন স্যার!

পতি বাড়ির ছেলেরা কখনো মারা মারি করেনা।

ভেরি গুড।

-- ঠিক আছে। আচ্ছা তুমি কিসের চাকরির জন্য এখানে এসেছো জানো?

--জানি স্যার, এক জন ঠিকা বন কর্মী হিসাবে।

__ তার কি কাজ জানো?

-- কেন জানবো না স্যার , আমাদের হাতি তাড়াতে হবে।

-- তা তোমার হাতি তাড়ানোর কোনো ট্রেনিং আছে?

-- না স্যার , তাছাড়া কলকাতায় হাতি পাওয়া যায় না ,তাই ওটা শেখা হয়নি।

--- তবে দেখেছি বন কর্মীরা মশাল জ্বেলে হাতি তাড়ায়।

কিন্তু পাতি বাবু হাতি তাড়াতে আমাদের এইট পাশ লাগবে ।

-- কিন্তু স্যার হাতি তো এইট পাশ এম এ পাশ বুঝবে না, শুধু ভয় পেলে হলো।

-- অত সহজ নয় বুঝলে, হাতি না বুঝলে ও আমরা বুঝি।

-- কি করবো স্যা র  তাহলে।

- এ জন্মে না , পরের জন্মে এইট পাশ করে এসো হাতি তাড়াতে।

--  কি করব স্যার বেকারের জ্বালা ।

-- ঠিক আছে  তুমি গরীব মানুষের ছেলে মেয়েদের পড়াতে শুরু করো।

--হাতি নয় অশিক্ষা তাড়াও আগে । 

--ধন্য বাদ স্যার।

হাতি ছেড়ে পতি বাবু,

একা যায় ফিরে।

আলো জ্বে লে দেয়

গরীবের ঘরে ঘরে।।

ডা; কাজল কুমার বক্সী।








Friday, September 2, 2022

হারাধন সরকার

👲👲 আপনার নাম কি?

স্যার হারাধন সরকার।

ভোটার কার্ড আছে?

আছে স্যার।

আধার কার্ড?

আছে স্যার।

রেশন কার্ড?

আনছি।

স্বাস্থ্য সাথী?

তাও নিয়ে আইছি।

ঠিক আছে।

বার্ধক্য ভাতার বই?

কাছে আছে।

দলিল?

আছে স্যার 

জব কার্ড?

হয় সেটাও নিয়ে আই ছি।

শ্রমিক কার্ড ?

ব্যাগের মধ্যি আছে।

আছে বললে হবে না , দেখাতে হবে।

খাজনার রশিদ আছে?

হয় কেবলই টাহা দিয়ে নিলাম।

 ডেথ সার্টিফিকেট আছে?

সেডা আবার কি?

মৃত্যু সার্টিফিকেট আছে ?

কি যে বলেন স্যার আমি তো এহনো বেচে  রইছি! ওইডা পাবো কি করে?

আরে মানুষ মরেও বেচে থাকে  ।👸

তাই আবার হয় নাকি স্যার।

আরে পয়সা দিলে সব হয়।

আপনি যে হারাধন এটা বোঝা সহজ নয় বুঝলেন।

যাক সব লিঙ্ক করা আছে ।

হয় স্যার লিঙ্ক করতি করতি আমিই হারা হয়ে গেছি।

আরে আমরা হছছি হারাধন সরকারের কর্মচারি। অত সহজে কাউকে হারিয়ে যেতে দেব না  বুঝলেন হারাধন বাবু।👨👨😔😖

ডাঃকাজাল কুমার বক্সী।





Tuesday, July 5, 2022

সবাই মিলে

 🌴🌴একটা ডুমুর গাছ ছিল

তাই টুনটুনি টা আসছিল।

চওড়া পাতার ডাল ছিল,

তাই বাসার মধ্যে ডিম ছিল।🐦🐦


ডিমের মধ্যে কুসুম ছিল

তাই তিনটে ছানার প্রাণ ছিল।

খুশি খুশি স্বপন ছিল,

তাই পাখি দুটি ডাক ছিল।🐦🐦


আকাশজোড়া মেঘ ছিল,

তাই ঝোড়ো ঝোড়ো বাতাস ছিল।

পাখি গুলির ভয় ছিল,

তাই বাসার কাছে ঘুরছিল।🐤🐤


🐱হোতকা দুটো বেড়াল ছিল

তাই সবসময়ে খেয়াল ছিল।

ঠোঁটে চাপা খাবার ছিল,

তাই বাচ্চাগুলো তাকিয়ে ছিল।


🐥🐥ছোট্ট ছোট্ট ডানা ছিল

তাই পালক দিয়ে ঢাকা ছিল।

দিনে দিনে বাড়তে ছিল,

তাই ছটফটানি মন ছিল।


হাজার রকম বাধা ছিল

তাই বুকের মধ্যে সাহস ছিল।

বড় হওয়ার ইচ্ছা ছিল,

তাই সবাই মিলে উড়তে ছিল।।



তাই সবাই মিলে উড়তে ছিল।।🐦🐦

Dr.Kajal Kumar Bakshi (H.M.O)

Bagula, Nadia,,WB 














ভোটা চাটনি

ভোটা চাটনি চাই গো ,ভোটা চাটনি চাই?  ও ভাই , ভোটা চাটনি কি? ওই চাটনির তো কখনো নাম শুনিনি। দাদা এই চাটনির অনেক গুন, একবার খেয়েই দেখুন না কিরক...