Tuesday, September 27, 2022

গণেশ চন্দ্র পতি

 -- তোমার নাম কি?

__স্যার গণেশ চন্দ্র পতি।

-- কোথায় থাকো?

__ কোলকাতায়, পাঁতিপুকুরে স্যার।

__ ভালো।

--এবার বল তুমি কি পাশ করেছো?

--স্যার ২০১৫ তে এম ,এ পাশ করেছি।

--খুব ভালো।

-- আর কি জানো?

-- স্যার বেকার বসে ছিলাম , তাই একটু এল,এল,বি পাশ  করেছি।

-- তাই নাকি? বিশাল ব্যাপার।

আর কি কি জানো তুমি 

-- স্যার হোমিও প্যাথি, তার পরে কম্পিউটার ও জানি।

--বেশ বেশ , তুমি তো অনেক কিছু  জানো।

--হ্যা স্যার।

--তা তুমি লাঠি বাগিয়ে ছুটে ছুটে মারতে গেছো কখনো কাউকে?

-- না স্যার কখনো যাইনি।

-- কেন ? অন্য পার্টির লোক জনকে কিংবা পুলিশ কে মারোনি কখনো?

--কি বলছেন স্যার!

পতি বাড়ির ছেলেরা কখনো মারা মারি করেনা।

ভেরি গুড।

-- ঠিক আছে। আচ্ছা তুমি কিসের চাকরির জন্য এখানে এসেছো জানো?

--জানি স্যার, এক জন ঠিকা বন কর্মী হিসাবে।

__ তার কি কাজ জানো?

-- কেন জানবো না স্যার , আমাদের হাতি তাড়াতে হবে।

-- তা তোমার হাতি তাড়ানোর কোনো ট্রেনিং আছে?

-- না স্যার , তাছাড়া কলকাতায় হাতি পাওয়া যায় না ,তাই ওটা শেখা হয়নি।

--- তবে দেখেছি বন কর্মীরা মশাল জ্বেলে হাতি তাড়ায়।

কিন্তু পাতি বাবু হাতি তাড়াতে আমাদের এইট পাশ লাগবে ।

-- কিন্তু স্যার হাতি তো এইট পাশ এম এ পাশ বুঝবে না, শুধু ভয় পেলে হলো।

-- অত সহজ নয় বুঝলে, হাতি না বুঝলে ও আমরা বুঝি।

-- কি করবো স্যা র  তাহলে।

- এ জন্মে না , পরের জন্মে এইট পাশ করে এসো হাতি তাড়াতে।

--  কি করব স্যার বেকারের জ্বালা ।

-- ঠিক আছে  তুমি গরীব মানুষের ছেলে মেয়েদের পড়াতে শুরু করো।

--হাতি নয় অশিক্ষা তাড়াও আগে । 

--ধন্য বাদ স্যার।

হাতি ছেড়ে পতি বাবু,

একা যায় ফিরে।

আলো জ্বে লে দেয়

গরীবের ঘরে ঘরে।।

ডা; কাজল কুমার বক্সী।








Friday, September 2, 2022

হারাধন সরকার

👲👲 আপনার নাম কি?

স্যার হারাধন সরকার।

ভোটার কার্ড আছে?

আছে স্যার।

আধার কার্ড?

আছে স্যার।

রেশন কার্ড?

আনছি।

স্বাস্থ্য সাথী?

তাও নিয়ে আইছি।

ঠিক আছে।

বার্ধক্য ভাতার বই?

কাছে আছে।

দলিল?

আছে স্যার 

জব কার্ড?

হয় সেটাও নিয়ে আই ছি।

শ্রমিক কার্ড ?

ব্যাগের মধ্যি আছে।

আছে বললে হবে না , দেখাতে হবে।

খাজনার রশিদ আছে?

হয় কেবলই টাহা দিয়ে নিলাম।

 ডেথ সার্টিফিকেট আছে?

সেডা আবার কি?

মৃত্যু সার্টিফিকেট আছে ?

কি যে বলেন স্যার আমি তো এহনো বেচে  রইছি! ওইডা পাবো কি করে?

আরে মানুষ মরেও বেচে থাকে  ।👸

তাই আবার হয় নাকি স্যার।

আরে পয়সা দিলে সব হয়।

আপনি যে হারাধন এটা বোঝা সহজ নয় বুঝলেন।

যাক সব লিঙ্ক করা আছে ।

হয় স্যার লিঙ্ক করতি করতি আমিই হারা হয়ে গেছি।

আরে আমরা হছছি হারাধন সরকারের কর্মচারি। অত সহজে কাউকে হারিয়ে যেতে দেব না  বুঝলেন হারাধন বাবু।👨👨😔😖

ডাঃকাজাল কুমার বক্সী।





Tuesday, July 5, 2022

সবাই মিলে

 🌴🌴একটা ডুমুর গাছ ছিল

তাই টুনটুনি টা আসছিল।

চওড়া পাতার ডাল ছিল,

তাই বাসার মধ্যে ডিম ছিল।🐦🐦


ডিমের মধ্যে কুসুম ছিল

তাই তিনটে ছানার প্রাণ ছিল।

খুশি খুশি স্বপন ছিল,

তাই পাখি দুটি ডাক ছিল।🐦🐦


আকাশজোড়া মেঘ ছিল,

তাই ঝোড়ো ঝোড়ো বাতাস ছিল।

পাখি গুলির ভয় ছিল,

তাই বাসার কাছে ঘুরছিল।🐤🐤


🐱হোতকা দুটো বেড়াল ছিল

তাই সবসময়ে খেয়াল ছিল।

ঠোঁটে চাপা খাবার ছিল,

তাই বাচ্চাগুলো তাকিয়ে ছিল।


🐥🐥ছোট্ট ছোট্ট ডানা ছিল

তাই পালক দিয়ে ঢাকা ছিল।

দিনে দিনে বাড়তে ছিল,

তাই ছটফটানি মন ছিল।


হাজার রকম বাধা ছিল

তাই বুকের মধ্যে সাহস ছিল।

বড় হওয়ার ইচ্ছা ছিল,

তাই সবাই মিলে উড়তে ছিল।।



তাই সবাই মিলে উড়তে ছিল।।🐦🐦

Dr.Kajal Kumar Bakshi (H.M.O)

Bagula, Nadia,,WB 














Thursday, June 23, 2022

পুরাতন

👫ঘাম হয়ে ঝরে পড়ে নোনা শোক

তেতো মধু  খোঁজে ভোরের মৌমাছি।

ভীতু জীবন বেছে নেয় অনাচারির ভোগ।


ভিজে পাতায় পাতায় চাদেঁর নকল আলো,

পরব লেগেছে ন্যাড়া পাহাড় চূঁড়োয়।

কামাতুর শরীর উষ্ণতায় একাকী জড়সড়।


ভরা সংসার নিয়ে কাশ্মীরে পুরাতন প্রেমিক,

বরফ গলে গলে বেরিয়ে আসে স্মৃতির কঙ্কাল।

চলন্ত রোপওয়েতে বিপরীতে হারায় দুজনে দুদিক।👫




DR. KAJAL KUMAR BAKSHI(H.M.O)

BAGULA, NADIA,W.B

 











Wednesday, January 19, 2022

ইচ্ছে ডানা (৪)

 ইচ্ছে ডানা (৪)🌞🌞

হাফ লং থেকে জাতিঙ্গা প্রায় নয় থেকে দশ কিলোমিটার ।ভাড়া গাড়িতে করেই সেখানে পৌছেছিলাম সবাই।জাতিঙ্গায় প্রাকৃতিক প্রাচুর্য যেমন রয়েছে তেমনি খাঁসিয়া জন জাতির বসবাসে অন্য এক মাত্রায় পৌছেছে সুন্দরের মেল বন্ধন।ছোটো বড় হাজার হাজার মসৃন অমসৃন পাথরের গা বেয়ে কিংবা ফাঁক ফোকর গলে গলে জাতিঙ্গা নদী বয়ে চলেছে অবিরাম ।স্রোতের মেলোডি শোনা যায় কান পাতলে যা সবাইকেই অভিভূত করে অজানা এক আনন্দে।ব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটিয়ে দেওয়া যায় এখানে।অজানা কত পাখিদের কলতানে এখানে সব সময় মুখর থাকে।লক লকে বাঁশের ডগা কুয়াশা ভেদ করে মেঘ ছুঁয়েছে অবলিলায়। সাদা কাঞ্চণ ফুলের মুক্তো হাসি চারিপাশে ছড়িয়ে পড়েছে অজানা এক খুশিতে।🍀🍀🌸🌸

জাতিঙ্গায় সব চেয়ে মর্মান্তিক ও রোমঞ্চকর ঘটনা হল একটা নির্দিষ্ট সময় কালে এক সঙ্গে অনেক পাখির মৃত্যু।তাদের মধ্যে পরিযায়ী পাখী যেমন রয়েছে  তেমনি ভাবে লোকালয়ের পাখিও রয়েছে। অনেক আগে সাধারণ মানুষের মধ্যে মৃত্যু রহস্য নিয়ে অজানা কারন ও ধোঁয়াশা ছিল মনের মধ্যে। তবে বর্তমানে বিজ্ঞানীদের কারন অনুসন্ধানের প্রচেষ্টায় মৃত্যু রহস্য অনেক পরিস্কার হয়ে গেছে। কোভিদের জন্য পাখি দেখার ভিউ পয়েন্ট বন্ধ ছিল।সংস্কার হচ্ছিল।পাহাড়ের ঢাল বেয়ে পাকা রাস্তা চলে গেছে একে বেকে। বিশাল সাদা কাঞ্চন ফুলের গাছ জাতিঙ্গা নদীর কাছে নিজেকে মেলে ধরেছে অপরুপ সৌন্দর্য সৌরভ নিয়ে।চিরন্তন সবুজে মোড়া কুয়াশার আড়ালে উঁকি মারছে পাহাড় দল এখানে।


একটা সাঁকোর নিচ দিয়ে টলটলে জলের একটা আস্ত নদী বয়ে চলেছে।লোহার রেলিং ধরে এই নৈসর্গিক শোভা যেমন চাক্ষুস করা যায় তেমনি অনুধাবন করা যায় প্রকৃতির অপার রহস্যময়তা।খাসিয়া জনজাতির পুরুষ ও মহিলারা সমান ভাবে কৃষি কাজে  পারদর্শী। পিঠে করে বাঁশের চুপড়িতে সব কিছু বয়ে নিয়ে চলেছে অবলিলায়।খাসিয়া জনজাতির জীবন বৈচিত্র নিয়ে একটি গ্রাম্য সংগ্রহ শালা রয়েছে এখানে। নানা রঙ্গে রাঙ্গানো ভারত বর্ষের একটি রঙ্গিন পালক জাতিংগা যেখানে নানা প্রান্ত থেকে পাখিরা আসে ডানা মেলতে অজানা মৃত্যুকে উপেক্ষা করে।🐦🐤

JATINGA


JATINGA RIVER

WHITE FLOWER



COTTAGE NEAR HAFLONG



KHASIA FAMILY

ভোটা চাটনি

ভোটা চাটনি চাই গো ,ভোটা চাটনি চাই?  ও ভাই , ভোটা চাটনি কি? ওই চাটনির তো কখনো নাম শুনিনি। দাদা এই চাটনির অনেক গুন, একবার খেয়েই দেখুন না কিরক...