Tuesday, July 5, 2022

সবাই মিলে

 🌴🌴একটা ডুমুর গাছ ছিল

তাই টুনটুনি টা আসছিল।

চওড়া পাতার ডাল ছিল,

তাই বাসার মধ্যে ডিম ছিল।🐦🐦


ডিমের মধ্যে কুসুম ছিল

তাই তিনটে ছানার প্রাণ ছিল।

খুশি খুশি স্বপন ছিল,

তাই পাখি দুটি ডাক ছিল।🐦🐦


আকাশজোড়া মেঘ ছিল,

তাই ঝোড়ো ঝোড়ো বাতাস ছিল।

পাখি গুলির ভয় ছিল,

তাই বাসার কাছে ঘুরছিল।🐤🐤


🐱হোতকা দুটো বেড়াল ছিল

তাই সবসময়ে খেয়াল ছিল।

ঠোঁটে চাপা খাবার ছিল,

তাই বাচ্চাগুলো তাকিয়ে ছিল।


🐥🐥ছোট্ট ছোট্ট ডানা ছিল

তাই পালক দিয়ে ঢাকা ছিল।

দিনে দিনে বাড়তে ছিল,

তাই ছটফটানি মন ছিল।


হাজার রকম বাধা ছিল

তাই বুকের মধ্যে সাহস ছিল।

বড় হওয়ার ইচ্ছা ছিল,

তাই সবাই মিলে উড়তে ছিল।।



তাই সবাই মিলে উড়তে ছিল।।🐦🐦

Dr.Kajal Kumar Bakshi (H.M.O)

Bagula, Nadia,,WB 














Thursday, June 23, 2022

পুরাতন

👫ঘাম হয়ে ঝরে পড়ে নোনা শোক

তেতো মধু  খোঁজে ভোরের মৌমাছি।

ভীতু জীবন বেছে নেয় অনাচারির ভোগ।


ভিজে পাতায় পাতায় চাদেঁর নকল আলো,

পরব লেগেছে ন্যাড়া পাহাড় চূঁড়োয়।

কামাতুর শরীর উষ্ণতায় একাকী জড়সড়।


ভরা সংসার নিয়ে কাশ্মীরে পুরাতন প্রেমিক,

বরফ গলে গলে বেরিয়ে আসে স্মৃতির কঙ্কাল।

চলন্ত রোপওয়েতে বিপরীতে হারায় দুজনে দুদিক।👫




DR. KAJAL KUMAR BAKSHI(H.M.O)

BAGULA, NADIA,W.B

 











Wednesday, January 19, 2022

ইচ্ছে ডানা (৪)

 ইচ্ছে ডানা (৪)🌞🌞

হাফ লং থেকে জাতিঙ্গা প্রায় নয় থেকে দশ কিলোমিটার ।ভাড়া গাড়িতে করেই সেখানে পৌছেছিলাম সবাই।জাতিঙ্গায় প্রাকৃতিক প্রাচুর্য যেমন রয়েছে তেমনি খাঁসিয়া জন জাতির বসবাসে অন্য এক মাত্রায় পৌছেছে সুন্দরের মেল বন্ধন।ছোটো বড় হাজার হাজার মসৃন অমসৃন পাথরের গা বেয়ে কিংবা ফাঁক ফোকর গলে গলে জাতিঙ্গা নদী বয়ে চলেছে অবিরাম ।স্রোতের মেলোডি শোনা যায় কান পাতলে যা সবাইকেই অভিভূত করে অজানা এক আনন্দে।ব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটিয়ে দেওয়া যায় এখানে।অজানা কত পাখিদের কলতানে এখানে সব সময় মুখর থাকে।লক লকে বাঁশের ডগা কুয়াশা ভেদ করে মেঘ ছুঁয়েছে অবলিলায়। সাদা কাঞ্চণ ফুলের মুক্তো হাসি চারিপাশে ছড়িয়ে পড়েছে অজানা এক খুশিতে।🍀🍀🌸🌸

জাতিঙ্গায় সব চেয়ে মর্মান্তিক ও রোমঞ্চকর ঘটনা হল একটা নির্দিষ্ট সময় কালে এক সঙ্গে অনেক পাখির মৃত্যু।তাদের মধ্যে পরিযায়ী পাখী যেমন রয়েছে  তেমনি ভাবে লোকালয়ের পাখিও রয়েছে। অনেক আগে সাধারণ মানুষের মধ্যে মৃত্যু রহস্য নিয়ে অজানা কারন ও ধোঁয়াশা ছিল মনের মধ্যে। তবে বর্তমানে বিজ্ঞানীদের কারন অনুসন্ধানের প্রচেষ্টায় মৃত্যু রহস্য অনেক পরিস্কার হয়ে গেছে। কোভিদের জন্য পাখি দেখার ভিউ পয়েন্ট বন্ধ ছিল।সংস্কার হচ্ছিল।পাহাড়ের ঢাল বেয়ে পাকা রাস্তা চলে গেছে একে বেকে। বিশাল সাদা কাঞ্চন ফুলের গাছ জাতিঙ্গা নদীর কাছে নিজেকে মেলে ধরেছে অপরুপ সৌন্দর্য সৌরভ নিয়ে।চিরন্তন সবুজে মোড়া কুয়াশার আড়ালে উঁকি মারছে পাহাড় দল এখানে।


একটা সাঁকোর নিচ দিয়ে টলটলে জলের একটা আস্ত নদী বয়ে চলেছে।লোহার রেলিং ধরে এই নৈসর্গিক শোভা যেমন চাক্ষুস করা যায় তেমনি অনুধাবন করা যায় প্রকৃতির অপার রহস্যময়তা।খাসিয়া জনজাতির পুরুষ ও মহিলারা সমান ভাবে কৃষি কাজে  পারদর্শী। পিঠে করে বাঁশের চুপড়িতে সব কিছু বয়ে নিয়ে চলেছে অবলিলায়।খাসিয়া জনজাতির জীবন বৈচিত্র নিয়ে একটি গ্রাম্য সংগ্রহ শালা রয়েছে এখানে। নানা রঙ্গে রাঙ্গানো ভারত বর্ষের একটি রঙ্গিন পালক জাতিংগা যেখানে নানা প্রান্ত থেকে পাখিরা আসে ডানা মেলতে অজানা মৃত্যুকে উপেক্ষা করে।🐦🐤

JATINGA


JATINGA RIVER

WHITE FLOWER



COTTAGE NEAR HAFLONG



KHASIA FAMILY

Friday, November 19, 2021

ইচ্ছে ডানা (৩)

 ইচ্ছে ডানা(৩)🚙🚙

হাফ লং স্টেশনে সামান্য কিছু ফলাহার করে আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম হোম স্টের  উদ্দেশ্যে। হোম স্টে পাঠানো আমাদের গাড়ি আনেক আগেই স্টেশনে অপেক্ষা করে দাঁড়িয়ে ছিল। এক রাশ চাপা আনন্দ বুকে নিয়ে গাড়ীতে গিয়ে বসেছিলাম।আবহাওয়া এখন অনেকটা পরিস্কার ওঝলমলে ।ঐ দেখা যায় দূরে সার সার পাহাড়ের চূড়া।দুধসাদা পাতলা্মেঘের লেই যেন ঢালা পাহাড়ে পাহাড়ে।নীল সবুজের মিশেল রঙ্গে রাঙ্গানো সারা অবয়ব।নীচের  দিকে তাকালে দৃষ্টি হারিয়ে যায় গভীর গিরি খাতে। আর হয়ত ওখানে একে বেঁকে চলেছে কোন পাহাড়ী জলের ধারা।চিন্তা ও মননে তখন খুশির হাওয়া দোল খেয়ে চলেছে অনবরত। সুশ্রী এক যূবকের হাতে স্টিয়্যারিং। চড়াই উতরাই পেরিয়ে আমাদের ক্যারাভ্যান তখন এগিয়ে চলেছে পরিস্কার পাকা রাস্তা ধরে সামনের দিকে।🌄🌄

🚐🚐

আমাদের টূরিস্ট লজের নাম বার্গ  সেইন রেসিডেন্স। হাফ লং শহরের লেকের কাছেই বেশ সাজানো গোছানো দোতলা এই রেসিডেন্স। সিড়ি বেয়ে ছাদে উঠে গিয়ে দেখলাম প্রকৃতির অপরুপ শোভা মেলে ধরা আছে সারা দিগন্ত জুড়ে। যেদিকে তাকানো যায় সেই দিকেই  শুধু সুবিস্তৃত গিরি সারি।অলস মেঘের দল বেধে ঘুরে বেড়ানো তো আছেই।দুই পাহাড়ের মাঝে সিল্ভার রঙের রেল ব্রীজ দেখা যাচ্ছিল খুব ভালো ভাবে।ছাদের ছাউনির নীচে সাজানো চেয়ারে বসে কিছুক্ষন দেখলাম প্রকৃতির মিনিটে মিনিটে পাল্টে যাওয়া রুপ।অনেক দিন পর কোলাহল মুক্ত পরিবেশে অবকাশ পেলাম তারিয়ে তারিয়ে ঘন সবুজের মাঝে নিজেকে সপে দিতে।ভোর বেলা আবছা কুয়াশায় ঢাকা পাহাড় চূড়ার মুখ আরো দেখতে ভালো লাগে। ক্যামেরা বাগিয়ে ফটো তোলা হল চুপচাপ বেশ কয়েকটা।📸📸🎥🎥


🏠🏠

হাফলংকে কেন্দ্র করে আশেপাশে বেশ কয়েকটি খুব ভালো ঘোরার মত জায়গা রয়েছে,। হাফ লং শহর ও লেক, জাতিঙ্গা ফরেস্ট ও ঝরনা, খাশিয়া গ্রাম ,বিভিন্ন ভিউ পয়েন্ট এবং চার্চ।সময়ের অভাবে  ভালো করে দেখা না হলেও মন জুড়িয়ে গেছে  বলাই বাহুল্য। পাশেই ছিল বাধানো ছবির মত সার্কিট হাউজ। সার্কিট হাউজের ভিউ বেশ মনোরম ও সুবিশাল। অনেক অনেক ফ্যামিলি ফটো তোলাহয়ে ছিলো এখানে।আমাদের ছেলে মেয়ে দারুন উৎসাহ ও আনন্দ নিয়ে প্রকৃতির সঙ্গে মিলে মিশে ছিলো।প্রথমে সার্কিট হাউজ ঘুরে গাড়ীতে করে তারপর জাতিঙ্গা। এখানে প্রকৃতি ,পাহাড় ও ঝরনা মিলে মিশে একাকার।ঝরনা্র কাছে খাশিয়া জনজাতির মানুষ দৈনন্দিন কাজ কর্ম খুশি মনে সারছিল দেখতে পেলাম।

আর আমরা হারিয়ে ছিলাম নিজেকে । ভুলেই গিয়ে ছিলাম কোথায় গিয়েছিলাম আমি  সেদিন।🌼🌿🐟🍂🌳

লজের ছাদ থেকে 

সার্কিট হাউজ

বার্গ সেইন টুরিস্ট লজ


Tuesday, November 9, 2021

ইচ্ছে ডানা (২)

  ইচ্ছে ডানা(২)🐦🐦

         যেহেতু আমাদের হাফ লং যাওয়ার ট্রেন ভোর সাড়ে ছয়টায় সেই হেতু আমরা গভীর রাত্রেই শিয়ালদহ স্টেশনে পৌছে গিয়ে ছিলাম। কোভিদের নানা রকম বিধি নিষেধ থাকায় স্টেশনে এক জায়গায় বসে থাকা যাচ্ছিল না। কিছু ছবি ভিডিও তুলে সকাল সকাল সবাই মিলে আমাদের নির্দিষ্ট  ট্রেনে উঠে পড়েছিলাম।ভয়,উন্মাদনা  ও নতুনকে আবিস্কার করার তীব্র আগ্রহ নিয়ে বসে ছিলাম জালানার পাশে।

🚆🚆

সময়ের সাথে সাথে একে একে পার হয়ে গেলাম বর্ধ্মান, মালদহ, ফারাক্কা ব্যারেজের অতলান্ত জলের প্রবাহ ও বাঙ্গালির চির পরিচিত নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন। ট্রেন আসামের ভিতরে আসতেই সবুজের অভ্যর্থনা শুরু হল। উকি দিল কুয়াশায় ঢাকা আবছা পাহাড় চূড়া। কচি ধানের ক্ষেত দিগন্ত জোড়া বিস্তৃত ।এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত যেন সবুজের গালিচা পাতা। ঘন জংগলের ভিতর থেকে মাথা উচু করে সারি সারি দাঁড়িয়ে ছিল সরু সরু বাঁশের গাছের দল।

🌴🌴🌲🌲🎋

হাফ লং শৈল শহর টি গৌহাটি থেকে ৩১০ কিমি দূরে।আসামের ডিমা হাসাও জিলার মধ্যে শহরটির অবস্থান।পর্যটক,প্রকৃতি প্রেমিক,ও ফটোগ্রাফাদের জন্য এই ছোট্ট শহরটি তার নানা রকম বৈচিত্রতার ডালা সাজিয়ে নিয়ে যেন বসে আছে।আমরা যখন বেলা দশটা এগারোটা নাগাদ হাফ লং স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমেছিলাম তখন অন্য এক অনূভূতি সারা শরীরকে আবিষ্ট তুলে ছিল।রাশি রাশি পেঁজা নরম সাদা তুলোর মেঘ আকাশে। পাহাড়ের চূড়ো গুলো ছুয়ে ছুয়ে তারা ভেসে যাচ্ছিল এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ের দিকে। চির সবুজের ছায়ার কোলে শান্ত নিরাবিল হাফ লং যেন আমাদেরই অপেক্ষায়।কিছুক্ষন  দাঁড়িয়ে থাকার পর আমাদের শিয়ালদহ শিলচর স্পেশাল ট্রেন হর্ন বাজিয়ে শিলচরের উদ্দেশে রওনা দিল।🚉🚉

                                    ধন্য বাদ সহ

ডাঃ কাজল কুমার বক্সী(এইচ,এম,ও)







Sunday, October 10, 2021

ইচ্ছে ডানায়।(১)

👪 প্যন্ডেমিক এর জন্য প্রায় দুই বছরের বেশি কোথাও তেমন বেড়াতে যাওয়া হয়নি। মনটা উড়ু উড়ু করছিল একটু বাইরে ঘুরে আসতে। ঠিক করে ফেললাম সেজন্য হাফলং গৌহাটি হয়ে শিলং ভ্রমনের দিন ক্ষণ । সঙ্গে আমাদের বন্ধু সম বিজন  আর ওর স্ত্রী  ও মেয়ে। আমরা চার জন। যাওয়ার দিন যাবো শিয়ালদহ- শিলচর স্পেশাল ট্রেনে করে। ট্রেন ছাড়বে ভোর সাড়ে ছয়টায়। পৌছেতে পৌছতে পরের দিন  সকাল সাড়ে দশটা।


দুর্গা পূজোর পর পরই বেরিয়ে পড়বো। স্বাস্থ্য বিধি মেনে কপাল ঠুকে টা-টা বাই বাই করে  আমরা সাত জনাতে উঠবো ট্রেনের কামরায়। এখন অনেক সুবিধা । সব কিছুই অন লাইনে বুক করা যায়। আমাদের হোটেল বুক  হয়ে গেছে অনেক আগেই। হাফলং ,গৌহাটি ও শিলং এ। নিজের দেশ টাকেই ভালো করে দেখাই হয়নি এ অবধি। অনেক ইচ্ছা থাকলেও অনুকুল পরিস্থিতি হয়নি। যাক সে কথা। ওখানকার আবহাওয়া ভালো থাকলে বেড়ানোটা সুখকর হবে আশা করা যায়।

ঘোরা ফেরা ,খাওয়া দাওয়া,ছবি ভিডিও তোলা, রিভিউ লেখা অনেক কিছু  চলবে এক সঙ্গে ।যেহেতু ভোরে ট্রেন সেই জন্য আগের দিন রাতেই সকলকে শিয়াল দহ ষ্টেশনে ওয়েটিং রুমেই অপেক্ষা করতে হবে। শিয়াল দহ থেকে অনেক গুলো ট্রেন যায় এই পথে। যাওয়া যায় শিলচর, এমন কি ত্রিপুরাতেও।আসামে ত্রিপুরাতে বেশ কয়েক জন পরিচিত মানুষ ও বন্ধু রয়েছে। বহু কাল ওদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাত নেই কোনো। বিজন ও  তাঁর স্ত্রী প্রতি বছর ঘুরতে যায় । ওদের অনেক উৎসাহ ও অভিজ্ঞতা রয়েছে।👪 আজ এই অবধি। পরে আরো লিখব। 



ডাঃ কাজল কুমার বক্সী(এইচ,এম,ও)




Wednesday, August 25, 2021

বিবাগী বৃষ্টি

বিবাগী বৃষ্টি

ডাঃ কাজল কুমার বক্সী(এইচ,এম,ও )


যাক বৃষ্টিরা এ বছরের মতো

খাল,বিল ,নদী নালা  টই টম্বুর করে

শব্দ হারা  একলা বিবাগী।


আলো মতীর  খেলায়👩👩

নির্ভেজাল হাসিতে ছড়ায় শীতের খুশবু।

দুল দুলানি নাগর  দোলায়  আমোদিনী।


ঘুরন্ত জীবনে গলে গলে পড়ে আহ্লাদ,

রঙিন দীপ্র আলোতে  ঝক ঝকে দীপ্তি ময়ী ।

হাত ছেড়ে  বেলুন উড়ে যায়  একাকী।🎈🎈


ঝিমিয়ে পড়া ভাঙ্গা মেলা,

চৌকো চৌকো  মুখের বিষন্ন মানুষের  দল

সার্কাসে  হারায়  ক্ষূদাতুরা কিশোরী।👧👧


বৃষ্টি  চলে গেছে, রাস্তা  শুকিয়েছে

কাশ ফুলের মতো দোল  খায়  শরীর,

আনন্দ  মাথায়  করে ফেরে মানব মানবী।👬👬









ভোটা চাটনি

ভোটা চাটনি চাই গো ,ভোটা চাটনি চাই?  ও ভাই , ভোটা চাটনি কি? ওই চাটনির তো কখনো নাম শুনিনি। দাদা এই চাটনির অনেক গুন, একবার খেয়েই দেখুন না কিরক...