(১)
যে কাগজের নৌকা গুলি
আমি অসীম সমুদ্রে ভাসিয়ে ছিলাম,
তারা আর ফিরে আসেনি কোনদিন বন্দরে বন্দরে।
পৃথিবীর সব সমুদ্রে খুঁজি ফিরি নিঃসীম নীরবতায়।
চারি পাশে পরিত্যক্ত আবর্জনার স্তূপ
অগুনিত বিচিত্র পায়ের ছাপের কারুকার্য ।
তবুও আমি অন্তহীন প্রতিক্ষায় আছি চেয়ে।
কবিতার রাশি ভরা সাদা নৌকা গুলো,
স্বপ্নের হীরে মানিক বোঝাই বাক্স প্যাট্রা
আর গোপন কুঠুরিতে লুকানো
উদ্দীপ্তার আঁকা অসংখ্য ছবির কোলাজ।
সব কিছুই ফিরে পেতে চাই আমি
অজানা মোহনায় , ছোট্ট কোন ধূঁ ধূঁ বালির দ্বীপে।
হয়তো মাঝ দরিয়া গুলোতে ওরা সব ভেসে ভেসে
কিংবা হারিয়ে গেছে চিরতরে একেবারে।
কতশত জেলে ডিঙি ডুবে যায় কাল বৈশাখীর ঝড়ে।
কোনো বীর ক্যাপ্টেন শেষ যাত্রী নামিয়ে ভাসায় নিজেকে,
গোটা বিমান সমাধিতে যায় চলে শীতল সমুদ্র জলে।
স্বপ্নের মায়া ভরা কবিতা গুলো চাই আবারো আমার
উদ্দীপ্তার আঁকা পোর্টেট গুলো শুকাতে চাই মিষ্টি রোদের তাপে।
অপগতা উদ্দীপ্তার আত্মায় নিজেকে দেখি বারে বারে
আমার জীয়ন কাঁঠি মরন কাঠিঁ রাঙানো তার রঙে।
পাল তোলা নৌকা গুলো জানি ফিরবে না কোন দিন আর
ছন্দ আর রঙের খেলায় মাতবে না কোন নির্জ ন তট ভূমি,
সাত সমুদ্র তেরো নদীর পাড়ে দিশেহারা একান্ত একা আমি
নতজানু অভিশপ্ত উত্তপ্ত বালু চরে অজানা অভিশাপে ।
( উদ্দীপ্তা বলে কেউ নেই কিংবা জানা নেই আমার । কিন্তু তাঁকে ঘিরে তিনশো কবিতা লেখা ছিলো ,সেই গুলো ধীরে ধীরে প্রকাশ করবো। জানিনা সেগুলো পাঠ যোগ্য হবে কিনা। সবাইকে ধন্য বাদ জানিয়ে উদ্দীপ্তা র জন্য এগিয়ে যেতে চাই)
ডাঃ কাজল কুমার বক্সী
বগুলা , নদিয়া
No comments:
Post a Comment