Saturday, October 17, 2020

উদ্দীপ্তা

                                               
                 (১)
যে কাগজের  নৌকা গুলি
আমি  অসীম সমুদ্রে ভাসিয়ে  ছিলাম,
তারা আর  ফিরে আসেনি কোনদিন  বন্দরে বন্দরে।
পৃথিবীর সব সমুদ্রে খুঁজি ফিরি নিঃসীম নীরবতায়।
চারি পাশে পরিত্যক্ত  আবর্জনার  স্তূপ
অগুনিত বিচিত্র পায়ের ছাপের  কারুকার্য ।
তবুও আমি অন্তহীন   প্রতিক্ষায়  আছি চেয়ে।

কবিতার রাশি ভরা  সাদা নৌকা  গুলো,
স্বপ্নের হীরে মানিক বোঝাই বাক্স  প্যাট্রা
আর গোপন কুঠুরিতে লুকানো
উদ্দীপ্তার আঁকা  অসংখ্য ছবির কোলাজ।
সব কিছুই ফিরে পেতে চাই  আমি
অজানা মোহনায় , ছোট্ট কোন ধূঁ ধূঁ  বালির  দ্বীপে।

হয়তো  মাঝ দরিয়া  গুলোতে ওরা সব  ভেসে  ভেসে
কিংবা হারিয়ে গেছে  চিরতরে একেবারে।
কতশত জেলে ডিঙি  ডুবে যায় কাল বৈশাখীর  ঝড়ে।
কোনো বীর ক্যাপ্টেন শেষ যাত্রী নামিয়ে ভাসায় নিজেকে,
গোটা  বিমান  সমাধিতে যায় চলে শীতল সমুদ্র জলে।
স্বপ্নের মায়া ভরা কবিতা গুলো  চাই  আবারো আমার
উদ্দীপ্তার আঁকা  পোর্টেট  গুলো শুকাতে চাই  মিষ্টি রোদের  তাপে।

অপগতা উদ্দীপ্তার   আত্মায় নিজেকে  দেখি বারে বারে
আমার জীয়ন কাঁঠি মরন কাঠিঁ  রাঙানো তার রঙে।
পাল  তোলা   নৌকা গুলো  জানি  ফিরবে না  কোন দিন আর
ছন্দ আর রঙের  খেলায় মাতবে না  কোন  নির্জ ন  তট ভূমি,
সাত  সমুদ্র তেরো নদীর পাড়ে দিশেহারা  একান্ত একা আমি
নতজানু   অভিশপ্ত   উত্তপ্ত বালু চরে অজানা অভিশাপে ।


( উদ্দীপ্তা বলে  কেউ  নেই কিংবা জানা  নেই আমার । কিন্তু তাঁকে ঘিরে তিনশো  কবিতা  লেখা  ছিলো  ,সেই গুলো  ধীরে ধীরে প্রকাশ  করবো। জানিনা সেগুলো পাঠ যোগ্য হবে কিনা।  সবাইকে  ধন্য বাদ জানিয়ে  উদ্দীপ্তা র  জন্য এগিয়ে যেতে চাই)



ডাঃ কাজল কুমার বক্সী
 বগুলা , নদিয়া















Tuesday, October 13, 2020

শাশ্বত

 

                                         শাশ্বত

                                   ডাঃ কাজল কুমার  বক্সী (এইচ, এম,ও)


এক   মৃত মানুষের পা  চুঁইয়ে

গলে গলে পড়ছে  আট পৌরে স্বপ্নের মেদ।

হালকা হচ্ছে নিঃশব্দে পালিশ মার্বেল পাথর।


জিব ফেটে বেরিয়ে আসে লিপ্সার লালা রস,

আবছা  ছায়া ফেলে  দাঁড়িয়ে  আত্ম ভোলা মানুষের দল,

রাস্তায় এক কোণে ফুল ফোটায় কদম প্রতিটা বছর।


জীবন বীমার শেষ কিস্তি টা মিটিয়ে 

হলদে গলদা চিংড়ির ঝোল টুকু ছিল বাকি,

খোলা  জালানায় নরম আলোয় হারালো জীবন।


নিঃশেষিত যেন সমস্ত কিছু কৃষ্ণ গহবরে,

ফেরায় না কিছুই ,শুধু ভয়ানক শূন্যতা।

রাতের রজনী গন্ধার সুরভীতে নি শ্চল একান্ত  আপন জন।


সাজানো বাসরে ছিল শাশ্বত ছিদ্রের  চুল চেরা হিসাব,

বিষের থলিতে ভরা  ছিল মৃত্যুর পরোয়ানা

খেয়াল রাখেনি সদা ব্যস্ত অতি চেনা শহর।


ব্যালকনির  খাঁচায়  ঝোলে নিঃসঙ্গ  লাল ঠোটী  টিয়া,

শরীর থেকে খুলে খুলে যায় নাগপাশের  যত বাধন,

কোথাও আবার  স্ফীত হয়  নুতন আবৃতা  মাতৃ জঠর।


ধন্য  বাদ সহ

ডাঃ কাজল কুমার বক্সী

বগুলা ,নদিয়া,

kkbakshi.blogspot.com














Tuesday, October 6, 2020

গান ।

               গান

     ডাঃ কাজল কুমার  বক্সী

সেই যে তোমাকে গান শুনিয়ে ছিলাম,

ক্লান্ত মানুষের ভীড়ে ফিরতি পথে ট্রেনের কামরায়।

যখন সরষেরা হলদে  জামদানি আঁচল মেলেছে

সীমাহীন প্রান্তরে দলে দলে নিশ্চূপে।


তরতাজা বছর গুলো শুকনো পাতারা নিয়ে গেছে  বয়ে,

ডুলুং নদীর  ছোট ছোট ঢেউ আজও রোদে  চিকমিক্‌।

রঙ বে রঙ্গের নুড়ীতে নুড়ীতে  মৃদু  তালের ছন্দ।

ফিন ফিনে মসলিন কুয়াশায়  আচ্ছন্ন স্মৃতি।

আমি আজও সেইখানে বসে একাকী সন্তাপে।


সোনালী বালি  খুঁড়ে খুঁড়ে জল  তোলে মেয়েরা,

নেশাতুর মহুয়া ফুলের  উগ্র দম্‌কা হাওয়া,

পায়রার মাংস আর সাদা হাড়ীয়া সাজানো নিকানো  উঠোনে,

হারানো  সুরের তরঙ্গ দোলায়  নিশ্চল শাল প্রহরীর সারি।


পূজো লেগেছে  ন্যাড়া পাহাড়ের চূড়োয় ।

ছোট ছোট লাল ঘোড়া নিয়ে  চনমনে মানুষের ঢল,

মিষ্টি রসে ভেজা বড় বড়  হলদে জিলিপিরি ঘ্রান

সবুজ পাতায় মোড়া মুচ মুচে  সুস্বাদু তেলে ভাজা

 আর এই পথেই চলে যায় যত  বাহারি ফুল পরী।


অর্ন্তবাহী স্রোত ধারায়  কালের সময় মিলায়

কোথাও যেন  শুনতে পাই সুরেলা গানের  সেই রেশ।

উপুড় করা আকাশে তারা বাজির ফুলকি  ছড়ানো

ঝম্‌ ঝমিয়ে রাতের ট্রেন চলে যায়  অন্ধকার ঠেলে।


নুতন করে গান শোনানো হলনা আর তোমাকে,

বিশ্বের হাড় হীম করা ব্যাধির ত্রাস কড়া নাড়ল দুয়ারে

তুমি বললে  ''আসছি আমি, তুমি এসো পরে ''

অমানিশার কালো একলা খেলে  ডুলুং এর  শীতল জলে।


বগুলা ,নদিয়া












    

Thursday, October 1, 2020

লাল পুকুর।

 লাল পুকুর

ডাঃ কাজল কুমার বক্সী

হঠাৎ দেখি লাল পুকুরে

জল শুকিয়ে কাঠ,

ঝাঁকড়া মাথায় তালের সারি

সবুজ ভরা মাঠ।


গুগ্‌লি খোঁজে চুনা মান্ডি

আপন মনে একা,

দুপুর বেলা গরম হাওয়া

হলদে কাজু পাকা।


কাঁকড় ঝরে ঝুর ঝুরিয়ে

উচু পুকুর পাড়,

শেয়াল বেরোয় গর্ত থেকে

সাদা কাশের ঝাড়।


মাথায় নিয়ে কাঠের বোঝা

সাঁওতালী এক মেয়ে,

বন পেরিয়ে ফিরছে ঘরে

রুপোর নূপুর পায়ে।


হৃদ জুড়ানো ধানের ক্ষেত

মহুয়া ফুলের রাশি,



গায়ের ছেলে একলা বসে

বাজায় বাঁশের বাঁশি।


ঘর পালানো ছেলের দল

গল্প করে বসে,

গাছের ডালে ডাকছে ঘুঘু

গঙ্গা ফড়িং ঘাসে।

লাল পুকুরের গল্প গাঁথা

ফুরায় নাকো কভু

দিনের শেষে আধাঁর নামে

প্রদীপ নিভু নিভু।

ডা; কাজল কুমার বক্সী

বগুলা, নদীয়া।



ভোটা চাটনি

ভোটা চাটনি চাই গো ,ভোটা চাটনি চাই?  ও ভাই , ভোটা চাটনি কি? ওই চাটনির তো কখনো নাম শুনিনি। দাদা এই চাটনির অনেক গুন, একবার খেয়েই দেখুন না কিরক...