ইচ্ছে ডানা(২)🐦🐦
যেহেতু আমাদের হাফ লং যাওয়ার ট্রেন ভোর সাড়ে ছয়টায় সেই হেতু আমরা গভীর রাত্রেই শিয়ালদহ স্টেশনে পৌছে গিয়ে ছিলাম। কোভিদের নানা রকম বিধি নিষেধ থাকায় স্টেশনে এক জায়গায় বসে থাকা যাচ্ছিল না। কিছু ছবি ভিডিও তুলে সকাল সকাল সবাই মিলে আমাদের নির্দিষ্ট ট্রেনে উঠে পড়েছিলাম।ভয়,উন্মাদনা ও নতুনকে আবিস্কার করার তীব্র আগ্রহ নিয়ে বসে ছিলাম জালানার পাশে।
🚆🚆
সময়ের সাথে সাথে একে একে পার হয়ে গেলাম বর্ধ্মান, মালদহ, ফারাক্কা ব্যারেজের অতলান্ত জলের প্রবাহ ও বাঙ্গালির চির পরিচিত নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন। ট্রেন আসামের ভিতরে আসতেই সবুজের অভ্যর্থনা শুরু হল। উকি দিল কুয়াশায় ঢাকা আবছা পাহাড় চূড়া। কচি ধানের ক্ষেত দিগন্ত জোড়া বিস্তৃত ।এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত যেন সবুজের গালিচা পাতা। ঘন জংগলের ভিতর থেকে মাথা উচু করে সারি সারি দাঁড়িয়ে ছিল সরু সরু বাঁশের গাছের দল।
🌴🌴🌲🌲🎋
হাফ লং শৈল শহর টি গৌহাটি থেকে ৩১০ কিমি দূরে।আসামের ডিমা হাসাও জিলার মধ্যে শহরটির অবস্থান।পর্যটক,প্রকৃতি প্রেমিক,ও ফটোগ্রাফাদের জন্য এই ছোট্ট শহরটি তার নানা রকম বৈচিত্রতার ডালা সাজিয়ে নিয়ে যেন বসে আছে।আমরা যখন বেলা দশটা এগারোটা নাগাদ হাফ লং স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমেছিলাম তখন অন্য এক অনূভূতি সারা শরীরকে আবিষ্ট তুলে ছিল।রাশি রাশি পেঁজা নরম সাদা তুলোর মেঘ আকাশে। পাহাড়ের চূড়ো গুলো ছুয়ে ছুয়ে তারা ভেসে যাচ্ছিল এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ের দিকে। চির সবুজের ছায়ার কোলে শান্ত নিরাবিল হাফ লং যেন আমাদেরই অপেক্ষায়।কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থাকার পর আমাদের শিয়ালদহ শিলচর স্পেশাল ট্রেন হর্ন বাজিয়ে শিলচরের উদ্দেশে রওনা দিল।🚉🚉
ধন্য বাদ সহ
ডাঃ কাজল কুমার বক্সী(এইচ,এম,ও)
।