ও ভাই , ভোটা চাটনি কি? ওই চাটনির তো কখনো নাম শুনিনি।
দাদা এই চাটনির অনেক গুন, একবার খেয়েই দেখুন না কিরকম ভালো লাগে।
খেলে কি হবে?
-- এই চাটনি খেলে একবার আপনি পাঁচ বছর ধরে যাকে ভোট দেবেন বলে ভেবেছেন, তার কথা ভুলে গিয়ে আমাকেই ভোটটা দিয়ে দেবেন। ওখানে আমার এই বিশাল গোঁফ ওয়ালা মুখ দেখেতে পাবেন আর তার পাশে আমার নাম ভোটা চাটনি ওয়ালা ভুল ভালাইয়া থাকবে।
-- কি বলছো কী ? এতো বিশাল ষড়যন্ত্র! কেন্দ্রের না রাজ্যের ?
এটা কেবল মাত্র আমার তৈরী চাটনি ।
তাহলে তো পুলিশ কে বলতে হয় , তাইনা?
-- সে আপনি বলতে পারেন। তবে পুলিশ যদি এই চাটনি একবার খেয়ে ফেলে তবে আর রক্ষে নেই। তাহলে পুলিশ আমাকে না ধরে আপনাকে ধরে নিয়ে যাবে। অর্থাৎ জেলে থাকবে মালী , বাইরে থাকবে জালি । জনগনের পকেট খালি।
-- তাই ?
তাহলে কমিশন কে বলবো ।
-- সে তো আরো মজা হবে। চাটনি খে্লেই সে গান গাইতে থাকবে ।
আয়রে ভোটা আয় , ভোট দিয়ে যা ,
ভোটের কপালে ভোট ছাপ দিয়ে যা।
ভোট দিলে রাজা পাবি, ভোট দিলে রাণী পাবি,
সারা জীবন সুখে খাবি, চাটনি ওয়ালার চাটনি পাবি।
-- ভাই তোমার চাটনির দাম কতো?
একদম ফ্রী । তবে পিঠটা একটু চুল্কে দিলে ভালো হয়। আর বৌদিকে বলবেন আমাকে যেন কয়েকটা পিঠে বানিয়ে খাওয়ায়। এই আর কি?
-=- দিনে খাবে, না রাত্রে খাবে ?
-- একটু গভীর রাত্রে হলেই ভালো হয়।
-- শালা, এই দিকে আয় তোর চাটনি বিক্রি করাচ্ছি ? পিঠে মুগুর দিচ্ছি।
( কাল্পনিক সংলাপ)
--