ইচ্ছে ডানা (৪)🌞🌞
হাফ লং থেকে জাতিঙ্গা প্রায় নয় থেকে দশ কিলোমিটার ।ভাড়া গাড়িতে করেই সেখানে পৌছেছিলাম সবাই।জাতিঙ্গায় প্রাকৃতিক প্রাচুর্য যেমন রয়েছে তেমনি খাঁসিয়া জন জাতির বসবাসে অন্য এক মাত্রায় পৌছেছে সুন্দরের মেল বন্ধন।ছোটো বড় হাজার হাজার মসৃন অমসৃন পাথরের গা বেয়ে কিংবা ফাঁক ফোকর গলে গলে জাতিঙ্গা নদী বয়ে চলেছে অবিরাম ।স্রোতের মেলোডি শোনা যায় কান পাতলে যা সবাইকেই অভিভূত করে অজানা এক আনন্দে।ব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটিয়ে দেওয়া যায় এখানে।অজানা কত পাখিদের কলতানে এখানে সব সময় মুখর থাকে।লক লকে বাঁশের ডগা কুয়াশা ভেদ করে মেঘ ছুঁয়েছে অবলিলায়। সাদা কাঞ্চণ ফুলের মুক্তো হাসি চারিপাশে ছড়িয়ে পড়েছে অজানা এক খুশিতে।🍀🍀🌸🌸
জাতিঙ্গায় সব চেয়ে মর্মান্তিক ও রোমঞ্চকর ঘটনা হল একটা নির্দিষ্ট সময় কালে এক সঙ্গে অনেক পাখির মৃত্যু।তাদের মধ্যে পরিযায়ী পাখী যেমন রয়েছে তেমনি ভাবে লোকালয়ের পাখিও রয়েছে। অনেক আগে সাধারণ মানুষের মধ্যে মৃত্যু রহস্য নিয়ে অজানা কারন ও ধোঁয়াশা ছিল মনের মধ্যে। তবে বর্তমানে বিজ্ঞানীদের কারন অনুসন্ধানের প্রচেষ্টায় মৃত্যু রহস্য অনেক পরিস্কার হয়ে গেছে। কোভিদের জন্য পাখি দেখার ভিউ পয়েন্ট বন্ধ ছিল।সংস্কার হচ্ছিল।পাহাড়ের ঢাল বেয়ে পাকা রাস্তা চলে গেছে একে বেকে। বিশাল সাদা কাঞ্চন ফুলের গাছ জাতিঙ্গা নদীর কাছে নিজেকে মেলে ধরেছে অপরুপ সৌন্দর্য সৌরভ নিয়ে।চিরন্তন সবুজে মোড়া কুয়াশার আড়ালে উঁকি মারছে পাহাড় দল এখানে।
একটা সাঁকোর নিচ দিয়ে টলটলে জলের একটা আস্ত নদী বয়ে চলেছে।লোহার রেলিং ধরে এই নৈসর্গিক শোভা যেমন চাক্ষুস করা যায় তেমনি অনুধাবন করা যায় প্রকৃতির অপার রহস্যময়তা।খাসিয়া জনজাতির পুরুষ ও মহিলারা সমান ভাবে কৃষি কাজে পারদর্শী। পিঠে করে বাঁশের চুপড়িতে সব কিছু বয়ে নিয়ে চলেছে অবলিলায়।খাসিয়া জনজাতির জীবন বৈচিত্র নিয়ে একটি গ্রাম্য সংগ্রহ শালা রয়েছে এখানে। নানা রঙ্গে রাঙ্গানো ভারত বর্ষের একটি রঙ্গিন পালক জাতিংগা যেখানে নানা প্রান্ত থেকে পাখিরা আসে ডানা মেলতে অজানা মৃত্যুকে উপেক্ষা করে।🐦🐤JATINGA JATINGA RIVER WHITE FLOWER
COTTAGE NEAR HAFLONG |
KHASIA FAMILY |